May 20, 2024
খেলাধুলা

ইংল্যান্ডের সামনে ক্রোয়েশিয়া, সাত বছর পর বড় মঞ্চে ডাচরা

জানাশোনা প্রতিপক্ষের বিপক্ষে ইংল্যান্ডের ইউরো মিশন শুরু হচ্ছে। রোববার (১৩ জুন) ওয়েম্বলিতে তারা ‘ডি’ গ্রুপে নিজেদের প্রথম ম্যাচ খেলবে ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে।

বিশ্ব ফুটবলের বাকিদের মতো ইংল্যান্ডের কোচ গ্যারেথ সাউদগেট ও তার খেলোয়াড়রা শুভ কামনা জানিয়েছেন ক্রিস্টিয়ান এরিকসনকে। শনিবার ফিনল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ চলার সময় খেলার মাঠেই জ্ঞান হারান ডেনমার্কের তারকা ফুটবলার। এরিকসনের অসুস্থতার খবর শুনে স্তম্ভিত হয়ে পড়েন তার ইংল্যান্ড দলের ক্লাব সতীর্থ হ্যারি কেইন, কিয়েরন ট্রিপ্পিয়ের ও কাইল ওয়াকার। ম্যাচের আগের সংবাদ সম্মেলনও বাতিল করে দলটি।

পরে এরিকসনের সুস্থতার খবর শুনে ফের প্রস্তুতি শুরু করে থ্রি লায়নরা। তাদের পুরো মনোযোগ এখন ক্রোয়েশিয়া ম্যাচের দিকে। ২০১৮ সালের সেমিফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল দুই দল। ইংল্যান্ডকে ২-১ গোলে হারিয়ে প্রথমবার ফাইনালে উঠেছিল ক্রোটরা।

আজকের খেলা:

ইংল্যান্ড-ক্রোয়েশিয়া, ওয়েম্বলি, সন্ধ্যা ৭টা।

অস্ট্রিয়া-নর্থ মেসিডোনিয়া, বুখারেস্ট, রাত ১০টা।

নেদারল্যান্ডস-ইউক্রেন, আমস্টারডাম, রাত ১টা।

তারপর দুই দল মুখোমুখি হয়েছিল নেশনস লিগে, রিজেকায় ‍রুদ্ধদ্বার স্টেডিয়ামে ম্যাচটি হয়েছিল গোলশূন্য ড্র।

এই ম্যাচে সবার নজর থাকবে সাউদগেটের দল নির্বাচনে। হ্যারি ম্যাগুইরের ফিটনেস ও জ্যাক গিলিসের অন্তর্ভুক্তি এখন আলোচিত বিষয়।

‘সি’ গ্রুপের খেলায় একই দিন নেদারল্যান্ডসও রোববার মাঠে নামছে। ২০১৪ সালের বিশ্বকাপে তৃতীয় স্থানে থেকে শেষ করা ডাচরা ২০১৬ সালের ইউরো ২০১৮ সালের বিশ্বকাপে জায়গাই পায়নি। ৭ বছর পর আন্তর্জাতিক বড় টুর্নামেন্টে খেলতে নেমে নিজেদের প্রমাণ করতে চায় তারা। আমস্টারডামে ঘরের মাঠে ইউক্রেনের বিপক্ষে নতুন পথচলা শুরু হবে ডাচদের।

তবে নেদারল্যান্ডসের কঠিন পরীক্ষাই নেবে ইউক্রেন। বাছাইয়ের গ্রুপে অপরাজিত ছিল তারা এবং গ্রুপে ছিল পর্তুগালেরও উপরে।

ডাচদের গ্রুপ সঙ্গী অস্ট্রিয়া ও নর্থ মেসিডোনিয়া রোববার মুখোমুখি হবে রোমানিয়ার বুখারেস্টে। ইউরোতে প্রথম জয়ের খোঁজে অস্ট্রিয়া। ২০০৮ ও ২০১৬ সালে ইউরো খেলে তারা ড্র করেছে দুটি ও হার চারটি। ১৯৯১ সালে যুগোস্লাভিয়া থেকে স্বাধীন হওয়া নর্থ মেসিডোনিয়া প্রথমবার বড় কোনও টুর্নামেন্টে খেলতে যাচ্ছে।

গুরুত্বপূর্ণ পরিসংখ্যান…

বড় কোনও টুর্নামেন্টে ইংল্যান্ড কখনও ওয়েম্বলিতে ম্যাচ হারেনি। ১৯৬৬ সালের বিশ্বকাপ ও ১৯৯৬ সালের ইউরোতে তারা ১১ ম্যাচ খেলে জিতেছে সাতটি ও ড্র চারটি।

নেদারল্যান্ডস ও ইউক্রেন প্রথমবার কোনও বড় টুর্নামেন্টে মুখোমুখি হচ্ছে। আগের দুইবারের দেখাতেই ডাচরা ছিল অপরাজিত, দুটিই ছিল প্রীতি ম্যাচ। ২০০৮ সালে রটারডামে ৩-০ গোলে জিতেছিল তারা, দুই বছর পর দোনেৎস্কের ম্যাচ ড্র হয়েছিল ১-১ গোলে।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *