May 1, 2024
আঞ্চলিক

আ’লীগ সুসংগঠিত ছিলো বলেই সেনা সমর্থিত সরকার মুক্তি দিতে বাধ্য হয়

 

শেখ হাসিনার কারামুক্তি দিবসে নেতৃবৃন্দ

 

 

শেখ হাসিনার কারামুক্তি দিবস। দীর্ঘ ১১ মাস কারাভোগের পর ২০০৮ সালের এই দিনে তাঁর বিরুদ্ধে করা তৎকালীন অগণতান্ত্রিক তত্ত¡াবধায়ক সরকারের করা সবগুলো মামলায় জামিন পেয়ে মুক্তি পান তিনি। শেখ হাসিনার মুক্তির মধ্য দিয়ে দু-বছর ধরে অবরুদ্ধ থাকা বাংলাদেশের গণতন্ত্রের মুক্তির দ্বার উন্মোচিত হয়। দিবসটি পালন উপলক্ষে খুলনা মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগ মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টায় দলীয় কার্যালয়ে আলোচনা সভার আয়োজন করে। মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সিটি মেয়র আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেকের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, খুলনা জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশীদ, প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন, খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক, ১৪ দলের সমন্বয়ক ও সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মিজানুর রহমান মিজান। সভা পরিচালনা করেন, খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ দপ্তর সম্পাদক মো. মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগ।

এসময়ে নেতৃবৃন্দ বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যেমন দেশ ও জনগণের জন্য জীবনবাজী রেখে আন্দোলন করেছেন; তেমনি তাঁর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনাও পিতার ন্যায় দেশের জন্য জীবনকে হাতে নিয়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করেছেন।

নেতৃবৃন্দ বলেন, কোন আন্দোলনকে বেগবান করতে হলে সর্ব প্রথমে দলকে ঐক্যবদ্ধ ও সুসংগঠিত করতে হয়। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সুসংগঠিত ছিলো বলেই প্রিয়নেত্রী শেখ হাসিনাকে সেনা সমর্থিত সরকার মুক্তি দিতে বাধ্য হয়েছিলো। সেজন্যে সব কিছু ভুলে গিয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দলকে সুসংগঠিত করতে হবে। নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, সেদিন শেখ হাসিনা মুক্তি না পেলে বাংলাদেশ থেকে গণতন্ত্র চিরতরে বিদায় নিতো। সেদিন শেখ হাসিনার মুক্তি হয়েছিলো বলেই গণতন্ত্র মুক্তি পেয়েছিলো। আর গণতন্ত্র মুক্তি পাওয়ায় এদেশে বঙ্গবন্ধু’র আত্মস্বীকৃত খুনীদের বিচার, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সহ সকল হত্যার বিচার হয়েছে। তাই আজকের এ দিনটি যেমন জাতীয় ভাবে গুরুত্ব বহন করে একই ভাবে আন্তর্জাতিক ভাবেও গুরুত্ব বহন করে। তাই আসুন প্রধানমন্ত্রী দেশরতœ জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশকে একটি উন্নত দেশে পরিণত করি।

এসময়ে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, আওয়ামী লীগ নেতা এ্যাড. এম এম মুজিবুর রহমান, কাজী এনায়েত হোসেন, এ্যাড. সুজিত অধিকারী, এমডিএ বাবুল রানা, আবুল কালাম আজাদ কামাল, কামরুজ্জামান জামাল, প্যানেল মেয়র আলী আকবর টিপু, এ্যাড. মো. সাইফুল ইসলাম, আবুল কাশেম মোল্লা, শফিকুর রহমান পলাশ।

এসময়ে উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগ নেতা বেগ লিয়াকত আলী, এ্যাড. রজব আলী সরদার, শেখ মো. ফারুক আহমেদ, শ্যামল সিংহ রায়, মকবুল হোসেন মিন্টু, জামাল উদ্দিন বাচ্চু, এ্যাড. ফরিদ আহমেদ, শেখ ফজলুল হক, জোবায়ের আহমেদ খান জবা, এ্যাড. খন্দকার মজিবর রহমান, হালিমা ইসলাম, অধ্যা. মিজানুর রহমান, মো. জাহাঙ্গীর হোসেন খান, কামরুল ইসলাম বাবলু, মোকলেছুর রহমান বাবলু, হাফেজ মো. শামীম, কাউন্সিলর ফকির মো. সাইফুল ইসলাম, মাহবুবুল আলম বাবলু মোল্লা, মো. ওয়াহিদুজ্জামান, শেখ ফারুক হাসান হিটলু, রনজিৎ কুমার ঘোষ, আব্দুর রাজ্জাক, রফিকুল ইসলাম পিটু, সাব্বির আহমেদ শুভ, আব্দুল হাই পলাশ, মঈনুল ইসলাম নাসির, গাজী মোশাররফ হোসেন, ফয়েজুল ইসলাম টিটো, গোপাল চন্দ্র সাহা, আতাউর রহমান শিকদার রাজু, সরদার আব্দুল হালিম, শেখ মো. রুহুল আমিন, এ্যাড. শামীম মোশাররফ, মহাসিনুর রহমান আফরোজ, ইউসুফ আলী খান, শেখ এশারুল হক, মো. জাকির হোসেন হাওলাদার, মো. শিহাব উদ্দিন, শরীফ এনামুল কবীর, এস এম আকিল উদ্দিন, মো. মোতালেব মিয়া, মামনুন রশীদ, ইলিয়াছ হোসেন লাবু, ফারুক হোসেন তুরান, এ্যাড. ফারুক হোসেন, জেসমিন সুলতানা, মামনুরা জাকির খুকুমনি, আলীমুল জিয়া, মাসুদ হোসেন সোহান, রনবীর বাড়ৈই সজল, মাহমুদুর রহমান রাজেশ সহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।

উল্লেখ্য, ২০০৭ সালে দেশের উত্তপ্ত রাজনৈতিক পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে ড. ফখরুদ্দীন আহমদকে প্রধান উপদেষ্টা করে একটি সেনা সমর্থিত তত্ত¡াবধায়ক সরকার গঠন করা হয়। সামরিক বাহিনী ও দেশের একটি প্রভাবশালী মহল রাজনৈতিক সংস্কারের নামে বাংলাদেশের বৃহৎ দুইটি রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সভানেত্রী শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়াকে রাজনীতির বাইরে পাঠাতে তুমুল প্রচার-প্রচারণা ও প্রপাগান্ডা চালাতে থাকে, যা ‘মাইনাস টু ফর্মুলা’ নামে দেশের রাজনীতিতে খ্যাতি পায়, যার প্রধান কুশীলব বলে মনে করা হয় তৎকালীন সেনা প্রধান মইন ইউ আহমেদকে।

এরই ধারাবাহিকতায় ক্ষমতায় আসার মাত্র ৬ মাসের মধ্যে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনাকে ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই তাঁর বাসভবন সুধাসদন থেকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়। এর আগে তাঁর নামে অনেকগুলো মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়। কিন্তু সেনা সমর্থিত তত্ত¡াবধায়ক সরকারের ষড়যন্ত্র সফল হয়নি। শেখ হাসিনার প্রতি দেশবাসীর অকুণ্ঠ সমর্থনের কারণে রাজনৈতিক সমঝোতার ভিত্তিতে শেখ হাসিনাকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয় তৎকালীন অগণতান্ত্রিক তত্ত¡াবধায়ক সরকার। শেখ হাসিনার কারামুক্তি মহানগর দলীয় কার্যালয়ে এক আলোচনা সভার আয়োজন করেছে যুবলীগ।

 

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *