আরও কয়েক দিন বৃষ্টির আভাস
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে আশ্বিনের মাঝামাঝি এসে ভারি বর্ষণ চলছে
রাজধানীসহ দেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, আরও অন্তত
দিন পাঁচেক এমন আবহাওয়া বিরাজ করতে পারে।
গতকাল মঙ্গলবার দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে সিলেটে, ১২০
মিলিমিটার। এ সময় রাজধানীতে ৪৬ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এরমধ্যে
বেলা ১২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত ৪৫ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়।
দুপুরের ভারী বৃষ্টিতে রাজধানীতে জলাবদ্ধতার পাশাপাশি যানজটের দুর্ভোগ
পোহাতে হয় নগরবাসীকে।
জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ আব্দুর রহমান জানান, মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের ওপর
সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে তা মাঝারি অবস্থায় রয়েছে। এর প্রভাবে
টানা কয়েক দিন বৃষ্টি রয়েছে সবখানে। এমন আবহাওয়া আরও অন্তত দুই
থেকে পাঁচ দিন অব্যাহত থাকবে। তবে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমে আসবে।
আবহাওয়ার বুধবারের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল,
চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ঢাকা, রংপুর ও রাজশাহী
বিভাগের কিছু জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হতে পারে। সেই
সঙ্গে খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও
মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি হতে পারে।
টানা কয়েক দিনের বৃষ্টি এবং উজানে পানি বাড়ায় দেশের পশ্চিমাঞ্চলে,
বিশেষ করে পদ্মা অববাহিকার রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, কুষ্টিয়া ও নাটোর
অঞ্চলে স্বল্পকালীন বন্যা হতে পারে বলে আগেই আভাস দিয়েছে পানি উন্নয়ন
বোর্ড।
এর মধ্যে ভারতের উত্তর প্রদেশ ও বিহার রাজ্যে প্রবল বর্ষণের কারণে বন্যা দেখা
দেওয়ায় গঙ্গায় ফারাক্কা বাঁধের ১১৯টি গেইটের সবগুলোই সোমবার খুলে
দেয় ভারত। এই প্রেক্ষাপটে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, বৃষ্টি
অব্যাহত থাকলে ভারতের পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে এবং ফারাক্কা খুলে
দেওয়ায় বাংলাদেশেও বন্যা দেখা দিতে পারে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুজ্জামান
ভূঁইয়া বলেন, এই যে বন্যা পরিস্থিতি, এই পরিস্থিতিতে আসলে ভারতীয়
অংশের ফারাক্কা বাঁধের কোনো প্রভাব নেই। এই মৌসুমে ভারত অংশের
ফারাক্কা বাঁধের গেইটগুলো খোলাই থাকে। এই সময় নদী যে আচরণ করে তা
খুবই স্বাভাবিক আচরণ। তিনি জানান, গত জুলাই মাসের বন্যাও হয়েছিল
ভারী বৃষ্টির কারণে। মৌসুমি বৃষ্টিপাতের কারণে এখন একই ধরনের
পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।