May 18, 2024
জাতীয়

আম্পানে সুন্দরবনের কেওড়া গাছের বেশি ক্ষতি

বরাবরের মতো এবারও বুকে পেতে ঘূর্ণিঝড় আম্পানের হাত থেকে বাংলাদেশকে রক্ষা করেছে সুন্দরবন। এতে ক্ষতিগ্রস্তও হয়েছে পৃথিবীর একমাত্র ম্যানগ্রোভ এ বনটি।

ঘূর্ণিঝড়টির ফলে সুন্দরবনের গাছগাছালির মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে কেওড়া গাছের। এবং সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাসে বনবিভাগের অর্ধশত পুকুরে লবণাক্ত পানি প্রবেশ করেছে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন।

তবে মন্ত্রীর নির্দেশে ঘূর্ণিঝড়ে সুন্দরবনের ক্ষয়ক্ষতি নির্ধারণে চারটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।

সহকারী বন সংরক্ষক পদাধিকারী রেঞ্জ অফিসারদের নেতৃত্বে এ কমিটিগুলো গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।

বৃহস্পতিবার (২১ মে) বনমন্ত্রী ঢাকায় সরকারি বাসভবন থেকে ঘূর্ণিঝড় আম্পান পরবর্তীকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ভিডিও বার্তার মাধ্যমে এ তথ্য দেন।

মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা দীপংকর কর জানান, আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে কমিটিগুলোকে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। কমিটির প্রতিবেদন পাওয়ার পর পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করা হবে।

বনমন্ত্রী জানান, প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী সুন্দরবন বন বিভাগের ১০টির অধিক কাঠের জেটি এবং ৩০টির অধিক স্টাফ ব্যারাকের টিনের চালা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের ফলে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাসে বনবিভাগের ৬০টির অধিক পুকুরে লবণাক্ত পানি প্রবেশ করেছে। সুন্দরবনের গাছগাছালির মধ্যে কেওড়া গাছ বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

মন্ত্রী জানান, সুন্দরবনের ক্ষতিগ্রস্ত অথবা ভেঙে যাওয়া গাছপালা অপসারণ করা হবে না। সুন্দরবন নিজস্ব প্রাকৃতিক ক্ষমতা বলেই এটি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনবে। শুধু ক্ষতিগ্রস্ত অবকাঠামোগুলোর প্রয়োজনীয় সংস্কার করা হবে। পুকুরগুলোর লবণাক্ত পানি অপসারণ করা হবে। ব্যবহার উপযোগী করা হবে। প্রযোজ্য ক্ষেত্রে কিছু পুকুর পুনরায় খননের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *