April 20, 2024
খেলাধুলা

আমার মতে দুই স্পিনারই যথেষ্ট : মুমিনুল

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে বাংলাদেশের একাদশ নিয়ে বেশ কথা উঠছে। তিন পেসার এবং দুই স্পিনার খেলানোর সিদ্ধান্তটা কী হিসেবে নিয়েছে টিম ম্যানেজমেন্ট? তারা কী উইকেট রিড করতে পারেনি? উইকেট দেখে কী এর চরিত্র বোঝা যায়নি। যেখানে শ্রীলঙ্কা তাদের দলে বাড়তি স্পিনার নিয়ে এসেছে, সেখানে কেন বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্ট বিষয়টাকে আমলে নিল না?

সেটাই শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের জন্য কাল হলো বলা যায়। কারণ যেখানে লঙ্কান স্পিনাররা বলের ঘূর্ণিতে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের কাবু করেছে, সেখানে বাংলাদেশের বোলিং ছিল পুরোপুরি নখ-দন্তহীন। তবে, অধিনায়ক মুমিনুল হক দাবি করছেন, তাদের দুই স্পিনারই ছিল যথেষ্ট।

হারের পর সংবাদ সম্মেলনে উইকেট নিয়ে মুমিনুল বলেন, ‘(উইকেট) দেখতে অনেকটা একই রকম ছিল (প্রথম টেস্টের মত)। একজন বাড়তি স্পিনার কম খেলিয়েছে কিনা…, আমি যদি আগে ব্যাটিং করতাম তখন দেখতেন যে গল্পটা ভিন্নরকম হত।’

‘ওরা হয়তো আমাদের জায়গায় থাকতো আজকে। আমরা আজকে ওদের জায়গায় থাকতাম। আর এসব উইকেটে খুব বেশি স্পিনারও লাগে না, যেটা আমার কাছে মনে হয়েছে। আমাদের তো দু’জন খুব ভালো মানের স্পিনার ছিল, আমার মনে হয় না আরেকটা স্পিনার লাগতো। দুই স্পিনারই আমার মনে হয় যথেষ্ট।’

নিজেদের ওপর চাপ ছিল এটা স্বীকার করেছেন মুমিনুল। তিনি বলেন, ‘আপনি যখনই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দেশকে প্রতিনিধিত্ব করবেন, তখন আপনার ওপর চাপ থাকবেই। এই চাপ আপনাকেই সামলাতে হবে এবং চাপ সামলেই ভালো করতে হবে। প্রথম ম্যাচে সবাই যেভাবে অবদান রেখেছিল আমি খুশি হয়েছিলাম। দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে যখন কেবল আড়াই শ রান করলাম আমরা, তখনই ম্যাচ অর্ধেক হেরে গিয়েছিলাম। প্রথম ইনিংসে আমাদের আরও ভালো ব্যাটিং করতে হতো।’

টসটা ছিল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। টস হেরেই ম্যাচ অর্ধেক হেরে গেছেন বলে মনে করেন মুমিনুল। তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় এই টেস্ট ম্যাচে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল টস। দেখুন, প্রথম ২ দিনে কিন্তু উইকেটে বোলারদের জন্য কোনো সুবিধা ছিল না। আমার মনে হয়েছে, এই ম্যাচটার ৫০ শতাংশ ফলাফল টসের সময়েই নির্ধারণ হয়ে গিয়েছিল। কন্ডিশন অনেকটা একই। পার্থক্য শুধু এখানে আর্দ্রতা একটু বেশি।’

এই সিরিজ থেকে প্রাপ্তি কী বাংলাদেশের? মুমিনুল জানালেন, কিছু তো ছিলই। তিনি বলেন, ‘অবশ্যই প্রাপ্তির কিছু না কিছু আছে। আমি সিরিজ হেরেছি এর মানে এই না যে সব কিছু হেরে গিয়েছি। হয়তো আমি জানি একটু সমালোচনা হবে, অনেকেই অনেক কথা বলবে। এর ভেতরেও অনেক ইতিবাচক দিক আছে।’

সেই ইতিবাচক দিকটা কী? মুমিনুল বলেন, ‘প্রথম টেস্টে আমি যেটা সব সময় চাচ্ছিলাম যে দলগতভাবে খেলব। যেটা আমরা শেষ ২-১টি টেস্ট ম্যাচে খেলতে পারিনি। আমার কাছে মনে হয় প্রথম টেস্টে আমরা দল হিসেবে খেলতে পেরেছি। আমরা তখনই ভালো খেলি যখন আমরা দলগতভাবে খেলতে পারি। দলের সবাই যখন অবদান রাখে তখন আমরা দল হিসেবে ভালো করতে পারি। আপনি যদি দেখেন তামিম ভাইর দুইটা নম্বই আছে, একটা ৭০ আছে। শান্তর একটা ১৬৩ আছে, মুশফিক ভাই ও লিটনের হাফ সেঞ্চুরি আছে। তাইজুলের ৫ উইকেট আছে। আমার কাছে মনে হয় যেটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, আপনারাও হয়তো অপেক্ষায় ছিলেন এটার কোন পেসার কি কিছু করতে পারছে কি না, সেই হিসেবে তাসকিনকে দেখেছেন। আগের চেয়ে অনেক ভালো এখন। অনেক উন্নতি করেছে। আমার কাছে মনে হয় অনেক ইতিবাচক দিক আছে এই টেস্ট সিরিজে।’

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *