October 18, 2024
আঞ্চলিকলেটেস্টশীর্ষ সংবাদ

আব্দুল্লাহ হত্যা প্রচেষ্টা মামলার আসামি ও কিশোর গ্যাংয়ের ১০ সদস্য আটক

কিশোর গ্যাং দমনে কঠোর অবস্থানে র‍্যাব

দ. প্রতিবেদক

নগরীর বাগমারা এলাকার আলোচিত মো. আব্দুল্লাহ হত্যা প্রচেষ্টা মামলার আসামি মেহেদী হাসান হৃদয়কে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-৬। গত মঙ্গলবার রাতে তাকে রূপসা উপজেলার কাজদিয়া সরকারি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনে থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে এ মামলার অপর দু’ আসামিকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব।

 

 আসামি মেহেদী হাসান হৃদয়।র‍্যাব-৬ এর ফেসবুক পেজ থেকে সংগৃহীত

অপরদিকে মঙ্গলবার রাত ২টার দিকে কিশোর গ্যাং ‘কিং অফ রূপসা’ এর ১০ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময়ে র‌্যাব তাদের কাছ থেকে মাদকদ্রব্য, সিগারেট, চাকুসহ অন্যান্য সমগ্রী উদ্ধার করে। গতকাল বুধবার সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন র‌্যাব-৬ এর পরিচালক লে. কর্ণেল মুহাম্মদ মোসতাক আহমেদ।

তিনি জানান, গত ১৭ নভেম্বর সাড়ে পাঁচটার দিকে বাগমারা মেইনরোড মোড়ে একটি সেলুনের মধ্যে মো. আব্দুল্লাহ অবস্থানকালে মোটরসাইকেল যোগে একদল সন্ত্রাসী দেশী অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। পরবর্তীতে ভিকটিমকে মুমূর্ষু অবস্থায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায় এলাকাবাসী। তার মাথায় ১৮টি সেলাই লাগে। এ ব্যাপরে আব্দুল্লাহ’র পিতা বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা প্রচেষ্টা মামলা দায়ের করেন। আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য র‌্যাব চৌকশ অভিযানিক দল গঠন করে। গত ১৮ নভেম্বর রাতে মামলার অন্যতম পলাতক আসামি মো. পারভেজ ও তিনদিন পরে মো. রোহান শেখেকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। সর্বশেষ মঙ্গলবার রাতে মো. মেহেদীকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। এ মামলায় জিজ্ঞাসাবাদে মেহেদী অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে। তবে তদন্তের স্বার্থে তা গোপন রাখা হয়েছে। তাকে র‌্যাব হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

তিনি আরও জানান, রূপসা এলাকার ‘কিং অফ রূপসা’ কিশোর গ্যাং এর ২৫ জন সদস্য রয়েছে। এরা মধ্যবিত্ত পরিবারের বকে যাওয়া সন্তান। এদের অনেকে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী। এরা বিভিন্ন কিশোর অপরাধের সাথে জড়িত। এরা নিজেদের উদ্দেশ্যে হাসিলের জন্য নিজেদের বাবা মা কে হেনস্তা করতেও পিছু পা হয়না। আটককৃত কিশোরদের কাছ থেকে নেইল কাটার, চিমটা, চাকু, মোবাইল ফোন, সিগারেট, মানিব্যাগ, টর্চ লাইট, ব্রেস লেট, লাইটার, গাড়ির চাবি, তিনটি মোটরসাইকেল ও নগদ কিছু টাকা উদ্ধার করা হয়।

আটক হওয়া কিশোর গ্যাং এর সদস্যরা হলেন লবণচরা সুইচগেট আল আমিন সড়কের মৃত আশরাফ হাওলাদারের ছেলে মো. শাহীন হাওলাদার (১৭), মোক্তার হোসেন সড়কের সুলতান আলী শেখের ছেলে শফিকুল ইসলাম অপু (১৭), লবণচরা সুইচগেট এলাকার মো. নাসিার হাওলাদারের ছেলে মো. পলাশ হাওলাদার, মো. রুহুল আমিনের ছেলে মো. মেহেদী হাসান রিমন (১৭), মোক্তার সড়কের আকমান শেখের ছেলে হৃদয় (১৭), মো. রফিকুল ইসলামের ছেলে মো. হৃদয় (১৭), শফিকুল ইসলাম বাদলের ছেলে মো. মিরাজুল ইসলাম রাতুল(১৭), শিপইয়ার্ড এলাকার মো. আব্দুল ওহাব শেখের ছেলে মো. রাতুল ইসলাম জিসান(১৫), ইসলামবাগ সড়ক কাদের ভান্ডার গলির মো. মৃদুল হাসান তনু (১৭) ও মো. ফেরদৌস গাজী (১৭)।

তিনি বলেন, গ্রেপ্তার হওয়া কিশোরদের পিতা, মাতা ও এলাকাবাসীর অভিযোগের ভিত্তিতে গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের সংশোধনাগারে পাঠিয়ে সংশোধন করা হবে।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *