May 4, 2024
আন্তর্জাতিক

আফগানিস্তান ছাড়ছে ন্যাটো বাহিনীও

প্রায় দুই দশক ধরে আফগানিস্তানে ‘শান্তিরক্ষা’র পর আগামী ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সব মার্কিন সেনা ফিরিয়ে নেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তাদের সেনা প্রত্যাহারের এই প্রক্রিয়া শুরু হবে ১ মে থেকে। এবার জানা গেল, ওই দিন শুধু মার্কিন বাহিনীই নয়, আফগানিস্তান থেকে বিদায় নিতে শুরু করবে ন্যাটো সেনারাও।

গত বছরের ২৯ ফেব্রুয়ারি কাতারের রাজধানী দোহায় শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরের পর মার্কিন প্রশাসন ঘোষণা দিয়েছিল, তালেবান যদি প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে, তাহলে যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো জোট আফগানিস্তান থেকে পরবর্তী ১৪ মাসের (২০২১ সালের মে) মধ্যে সকল সেনা প্রত্যাহার করে নেবে।

ওই চুক্তিতে শর্ত ছিল, তালেবানরা তাদের নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে আল কায়েদাকে কর্মকাণ্ড চালাতে দেবে না এবং জাতীয় শান্তি প্রক্রিয়ার ব্যাপারে আলোচনায় বসবে।

গত বুধবার সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়ে বাইডেন বলেছেন, এ বিষয়ে কোনো তাড়াহুড়ো করা হচ্ছে না। যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘতম যুদ্ধ শেষ করার সময় এসেছে।

তার এ ঘোষণার কিছুক্ষণ পরেই ন্যাটোর সেক্রেটারি জেনারেল স্টলটেনবার্গ জানিয়েছেন, তারাও আগামী ১ মে থেকে পর্যায়ক্রমে সেনা প্রত্যাহার করবেন।

আফগানিস্তানে বর্তমানে দুই হাজারের মতো মার্কিন সেনা মোতায়েন রয়েছে। আর অ-মার্কিনি ন্যাটো সেনা রয়েছে অন্তত সাড়ে সাত হাজার।

স্টলটেনবার্গ বলেন, আমরা ১ মে আফগানিস্তান থেকে ন্যাটো বাহিনী প্রত্যাহার শুরুর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই সেখান থেকে আমাদের সব সেনা সরিয়ে নিতে চাই।

অবশ্য ন্যাটোর পক্ষ থেকে হুঁশিয়ারি দিয়ে এটাও বলা হয়েছে, সেনা প্রত্যাহারের মধ্যে তালেবান যদি আক্রমণ করে, তাহলে উপযুক্ত জবাব দেয়া হবে।

তারা বলেছে, সেনা প্রত্যাহারের পর আফগানিস্তানকে নতুন পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে হবে।

এদিকে, ন্যাটোর এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তারা বলেছে, মার্কিনিরা কখনোই ন্যাটো দেশগুলোর সহযোগিতা ও পাশে থাকার কথা ভুলবে না।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *