আন্তর্জাতিক র্যাংকিংয়ে আবারও স্থান পেলো খুবি, উদ্ভাবনীতে দেশসেরা
দ. প্রতিবেদক
বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রতিষ্ঠিত গবেষণা প্রতিষ্ঠান নিয়ে স্পেনের সিমাগো ল্যাব ও যুক্তরাষ্ট্রের স্কপাস পরিচালিত বিশ্বের ৭০২৬টি বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের ওপর পরিচালিত (ইনডেক্স জার্নাল ভিত্তিক) জরিপে আবারও আন্তর্জাতিক র্যাংকিং এ স্থান করে নিয়েছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়। প্রথম এক হাজার বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে খুলনা বিশ্ববিদ্যায়ের সামগ্রিক অবস্থান এবার এগিয়েছে।
এর মধ্যে প্রথম এক হাজার বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে উদ্ভাবনীতে গতবছরের চেয়ে ২৮ ধাপ এগিয়ে ৪২১ তম স্থানে এবং দেশের মধ্যে ১ম, সামাজিক প্রভাব ক্যাটাগরিতে অবস্থান ৫ ধাপ এগিয়ে এবছর ২৩৭ এবং দেশের মধ্যে ৬ষ্ঠ অবস্থানে রয়েছে। তবে গবেষণায় গতবছরের চেয়ে কিছুটা পিছিয়ে ৪৯৫তম স্থানে রয়েছে এবং দেশের মধ্যে ১০ অবস্থানে রয়েছে। দেশের বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের মধ্যে সার্বিক ক্যাটাগরিতে গতবছরও দ্বিতীয় অবস্থানে ছিলো খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, এবছরও সে অবস্থান অক্ষুণ্ন রয়েছে।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান ২০১৯ সালের পর দ্বিতীয়বারের মতো এবছরও আন্তর্জাতিক র্যাংকিং তালিকায় স্থান পাওয়ায় এবং দেশের মধ্যে উদ্ভাবনীতে শীর্ষে থেকে সার্বিক ক্যাটাগরিতে অবস্থান ধরে রাখায় সকলকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়ে এক বার্তা দিয়েছেন। এক অভিনন্দন বার্তায় তিনি বলেন দেশে উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার মানোন্নয়নে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সদিচ্ছা, সরকারের অবিরাম সহায়তা ও ইউজিসির ঐকান্তিক প্রচেষ্টা এই অর্জনে মুখ্য ভূমিকা রেখেছে। এ জন্য তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় এবং ইউজিসির চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেছেন। একই সাথে তিনি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের গবেষণাকর্মে আন্তরিকতা ও নিরন্তর প্রচেষ্টা এবং শিক্ষার্থীদের একাগ্রতা, অনুশীলন ও অভিনিবেশের জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন সকলের সামগ্রিক প্রচেষ্টায় এ সুনাম ও সাফল্য এনে দিয়েছে। তিনি একই সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারিদের কর্মপ্রচেষ্টার কথাও উল্লেখ করে সম্মিলিত প্রচেষ্টায় অর্জিত এ সাফল্য সুসংহত করে সামনে আরও সামনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সবার প্রতি আহবান জানান
তালিকায় সার্বিক ক্যাটাগরিতে অবস্থান বিবেচনা পর্যায়ক্রমে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হলো : মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (১ম), খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় (২য়), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (৩য়), বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (৪র্থ), বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (৫ম), রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (৬ষ্ঠ), জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (৭ম), বুয়েট (৮ম), চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (৯ম), শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (১০ম), চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়(১১তম), ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয় ও নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় (যৌথভাবে ১২তম), রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (১৩তম), ডেফডিল বিশ্ববিদ্যালয় (১৪তম), খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ও ইন্টান্যাশনাল ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয় চট্ট্রগ্রাম (যৌথথভাবে ১৫তম), মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি (১৬তম) এবং আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (১৭তম)।