অভয়নগরে গাছ পুড়িয়ে চুল্লিতে তৈরি হচ্ছে কয়লা, দূষিত হচ্ছে পরিবেশ
মল্লিক খলিলুর রহমান, অভয়নগর
যশোরের অভয়নগর উপজেলার সিদ্ধিপাশা ইউনিয়নের বিভিন্ন জায়গায় প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বন উজাড় করে পুনরায় কাঠ পুড়িয়ে কয়লা তৈরি হচ্ছে দেদারছে। বেশ কয়েকবার পরিবেশ অধিদপ্তর ও উপজেলা প্রশাসন চুল্লিগুলি ভেঙ্গে দেয়ার পরও আবার নতুন করে কাঠ পোড়ানোর কাজ শুরু হয়েছে। যার ফলে একদিকে বন হচ্ছে উজাড় অপরদিকে পরিবেশ হচ্ছে দূষিত।
বৃহস্পতিবার বিকালে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, অভয়নগর উপজেলার সিদ্ধিপাশা ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে রয়েছে কাঠকয়লা তৈরির চুল্লি। এই চুল্লিতে দেদারছে পোড়ানো হচ্ছে কাঠ। প্রতিনিয়ত ফলজ ও বনজ গাছ কেটে সাবাড় করছে এলাকার কিছু অসাধু পরিবেশ দূষণকারী ব্যক্তি। বিশেষ করে উপজেলার সিদ্ধিপাশা ইউনিয়নের ধুলগ্রাম ও সিদ্দিপাশার সোনাতলা এলাকার কতিপয় ব্যক্তি এসব অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এই এলাকায় প্রায় ৫০টির অধিক চুল্লিতে অবৈধ কাঠ পুড়িয়ে কয়লা তৈরির কাজ চলছে। প্রতিটি চুল্লিতে গড়ে ১৫ দিনে প্রায় ২৫০ মণ কাঠ কয়লা তৈরির কাজে পুড়ছে। বেশ কিছু চুল্লি ভৈরব নদের তীরবর্তী এবং দূর্গম এলাকা হওয়ায় প্রশাসনের অভিযানের বাইরে থেকে যাচ্ছে। বাকি চুল্লিগুলোতে ইতোমধ্যে উপজেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর কয়েকদফা অভিযান চালিয়ে ভেঙ্গে ফেললেও পূনরায় আবার ওই চক্রটি সক্রিয় হয়ে কাঠ পুড়িয়ে যাচ্ছে দেদারছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন এলাকাবাসী জানান, পরিবেশ দূষণের কারণে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন এলাকাবাসী। অসাধু চক্রের ভয়ে মুখ খুলতে পারছেন না অনেকে। তাদের মতে, প্রশাসন যদি জোরালো কোনো ভূমিকা রাখে তাহলে হয়তো এই গাছ কেটে কয়লা তৈরি চিরতরে বন্ধ হয়ে যাবে।
বিষয়টি সম্পর্কে অভয়নগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আমিনুর রহমান জানান, বিষয়টি সম্পর্কে আমি যেহেতু অবগত নই সেহেতু বিষয়টি দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
খুলনা পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম মোবাইল ফোনে জানান, বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। অচিরেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
দক্ষিণাঞ্চল প্রতিদিন/ এম জে এফ