অভিযোগের তালিকায় বর্তমান মন্ত্রী-এমপিই বেশি
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
উপজেলা নির্বাচনে নৌকার বিরুদ্ধে গিয়ে অংশগ্রহণ ও তাতে মদদ দেয়ার অভিযোগে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যে দুই শতাধিক অভিযোগ এসেছে, এর মধ্যে অন্তত ৮০ থেকে ৭০ জন মন্ত্রী-এমপি রয়েছেন।
দলটির দায়িত্বশীল একটি সূত্র বলছে, অভিযুক্ত যেসব মন্ত্রী-এমপিদের নাম এসেছে, তার মধ্যে বর্তমান মেয়াদের সাংসদ ও মন্ত্রীদের সংখ্যাই বেশি। অভিযুক্তদের মধ্যে খুলনায় ৪১ জন, রাজশাহীতে ২০ জন, সিলেটে ৩২ জন, রংপুরে ২৬ জন, বরিশালে ১৭ জন, ময়মনসিংহে ২০ জন, ঢাকায় ৪৫ জন এবং চট্টগ্রামে ১৭ জন রয়েছেন। এই সংখ্যা আরো বাড়তে পারে।
গত ১২ জুলাই আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদ ও কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে বিদ্রোহী প্রার্থীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় নৌকার প্রার্থীর বিপক্ষে দল ও সহযোগী সংগঠনে যারা কাজ করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। অভিযুক্ত মন্ত্রী-এমপি বা যতই প্রভাবশালী হোক তারা বহিষ্কার ও শোকজের আওতায় আসবেন।
গত শনিবার দলের সম্পাদকমণ্ডলী ও সহযোগী সংগঠনের নেতাদের নিয়ে বৈঠক করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। সেখানে অভিযুক্তদের বিষয়ে যাচাই-বাছাইয়ের জন্য স্ব স্ব বিভাগের দায়িত্বশীল নেতাদের দায়িত্ব দেয়া হয়। মূলত আগামী সপ্তাহ থেকেই এই বিষয়ে চিঠি পাবেন অভিযুক্তরা।
এ সম্পর্কে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘উপজেলা নির্বাচনে যারা বিদ্রোহ করেছে, যারা মদদ দিয়েছে; তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়ার বিষয়টি সভায় আলোচনা হয়েছে। এ পর্যন্ত প্রায় দুইশ অভিযোগ পেয়েছি। এগুলো স্ব স্ব বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের আমরা দিয়েছি। কারণ কোনো কোনো অভিযোগ ব্যক্তিগত শত্রুতা থেকেও হতে পারে। ২৭ তারিখ পর্যন্ত তারা তা যাচাই-বাছাই করবেন।’