অগ্রণী ব্যাংকের তিন কর্মকর্তাসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
আড়াইশো কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে অগ্রণী ব্যাংকের সাবেক তিন কর্মকর্তা ও দুই ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল বুধবার চট্টগ্রামের ডবলমুরিং থানায় দুদকের সহকারী পরিচালক নিয়ামুল আহসান গাজী এই মামলা করেন বলে কমিশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য জানিয়েছেন।
মামলার আসামিরা হলেন- মেসার্স মাররীন ভেজিটেবল অয়েল লিমিটেডের চেয়ারম্যান টিপু সুলতান ও তার ভাই প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক হির আহম্মেদ, অগ্রণী ব্যাংকের সাবেক সিনিয়র অফিসার ত্রিপদ চাকমা, সাবেক সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার মো. রমিজ উদ্দিন এবং সাবেক ডিজিএম বেলায়েত হোসেন।
মামলায় বলা হয়েছে, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে অগ্রণী ব্যাংকের চট্টগ্রামের আগ্রাবাদসহ বিভিন্ন শাখা থেকে নেওয়া ঋণের ২৫৮ কোটি ৫৬ লাখ ১৬ হাজার ৩৭৩ টাকা জালিয়াতি ও পাচারের মাধ্যমে আত্মসাৎ করেছেন, যার তথ্যপ্রমাণ দুদকের অনুসন্ধানে পাওয়া গেছে।
২০১১ সালে মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়া থেকে ৩৫ হাজার মেট্রিক টন ‘ক্রুড পামওলিন’ আমদানি করার জন্য ২০ শতাংশ মার্জিনে ১২০ দিন মেয়াদে তিন হাজার ২৭০ কোটি চার লাখ টাকার ঋণপত্রের বিপরীতে ঋণ মঞ্জুরের জন্য আবেদন করে মেসার্স মাররীন ও জাসমীর ভেজিটেবল অয়েলস লিমিটেড।
এরপর ২০১১ সালের ১৩ অক্টোবর থেকে ২০১২ সালের ২৩ মার্চ পর্যন্ত মেসার্স মাররীন ভেজিটেবল অয়েল লিমিটডের অনুকুলে আটটি টিআর (ট্রাস্ট রিসিট) এবং তিনটি পিএডি (পেমেন্ট এগেইনস্ট ডকুমেন্ট) ঋণ বাবদ ২৮০ কোটি ৭২ লাখ ৩৮ হাজার ৩৭৩ টাকা বিতরণ করা হয়।
ঋণ গ্রহীতা প্রতিষ্ঠান ঋণ উত্তোলনের সময় মার্জিন ও অন্যান্য খাতে মোট ২২ কোটি ১৬ লাখ ২২ হাজার টাকা জমা করে। তবে বাকি ২৫৮ কোটি ৫৬ লাখ ১৬ হাজার ৩৭৩ টাকা আসামিরা আত্মসাৎ করেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে।
ঋণের মেয়াদোত্তীর্ণ দায় পরিশোধের শর্ত থাকলেও এই ক্ষেত্রে তা প্রতিপালন না করেই ২৮০ কোটি ৭২ লাখ ৩৮ হাজার ৩৭৩ টাকা ঋণ বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া ঋণ বিতরণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক লেনদেনের নির্দেশনা অনুসরণ না করা হয়নি বলে অভিযোগ দুদকের।