১১ দফা দাবিতে খুলনাসহ সারাদেশে পাটকল শ্রমিকদের ভুখা মিছিল আজ
বিভাগীয় শ্রম অধিদপ্তরের দু’পক্ষের বৈঠক ব্যর্থ
দ: প্রতিবেদক
খুলনার ৯টি পাটকলের শ্রমিকদের ভুখা মিছিলসহ আন্দোলন স্থগিত রাখার জন্য খুলনা বিভাগীয় শ্রম দপ্তরের পরিচালক মোঃ মিজানুর রহমান সিবিএ নেতাদের সাথে গতকাল রবিবার বিকাল সাড়ে ৩টায় শ্রম অধিদপ্তরের সভা কক্ষে বৈঠক করেছে। বৈঠকটি প্রায় দেড় ঘন্টা অনুষ্ঠিত হলেও কোন সুরাহ হয়নি। ফলে শ্রমিক নেতারা তাদের ডাকা পুর্ব নির্ধারিত ৬ দিনের আন্দোলন কর্মসুচি অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত বহাল রাখেন।
যার কারণে আজ সকাল ১০টায় মজুরী কমিশন বাস্তবায়ন, সাপ্তাহিক মজুরী প্রদানসহ ১১ দফা দাবিতে খুলনাসহ সারাদেশে পাটকল শ্রমিকরা হাতে থালা নিয়ে ভুখা মিছিল কর্মসূচি পালন করবে। শ্রম অধিদপ্তরের ওই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন পরিচালক মিজানুর রহমান।
তিনি আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে বলেন, শ্রমিকদের মজুরী কমিশন ও বকেয়া মজুরীর প্রদানের জন্য ইতোমধ্যে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ে আলোচনা হয়েছে। খুলনার সাবেক বিভাগীয় কমিশনার লোকমান হোসেন মিয়া বর্তমানে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব, সে উদ্যোগে নিয়ে শ্রমিকদের অর্থের বিষয়টি দৌড়ঝাপ করছেন।
খুলনা বিভাগীয় শ্রম অধিদপ্তর থেকে শ্রম মন্ত্রণালয়ে খুলনার ৯টি পাটকলের শ্রমিকদের বকেয়া মজুরীর হিসাবসহ সার্বিক পরিস্থিতির রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে। এ সময় তিনি ভুখা মিছিলসহ আন্দোলন স্থগিত করাসহ আইন, শৃঙ্খলা ও শান্তি বজায় রাখতে শ্রমিক নেতাদের প্রতি আহবান জানান। তবে শ্রমিক নেতারা এ বিষয়ে কোন মন্তব্য না করে সভাকক্ষ ত্যাগ করেন।
সভায় শ্রমিক নেতাদের মধ্যে বাংলাদেশ পাটকল সিবিএ-নন সিবিএ সংগ্রাম পরিষদের আহবায়ক সরদার আব্দুল হামিদ, সাহানা শারমিন, হুমায়ন কবির খান, মোঃ আলাউদ্দিন, মাওঃ হেমায়েত উদ্দিন আজাদী, দ্বীন ইসলাম, মুরাদ হোসেন, আবু দাউদ দ্বীন মোহাম্মদ, বেল্লাল মল্লিক, আঃ মান্নান, কাউওসার আলী মৃধা, সাইফুল ইসলাম লিটু, মোঃ হানিফ, রনজিত কুমার দেব, গোলাম আজম মিঠু, বাদশা মিয়া, মোঃ জাফর হোসেন, সিদ্দিকুর রহমান, ইব্রাহিম মোল্যা, ফরিদ শেখ।এছাড়া সভায় কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের উপ-মহাপরিচালক মোঃ আরিফুল ইসলাম, শিল্প পুলিশের পরিদর্শক মোঃ শহিদুল ইসলামসহ শ্রম অধিদপ্তরের অনেক কর্মকর্তা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ পাটকল সিবিএ-নন সিবিএ সংগ্রাম পরিষদের আহবায়ক সরদার আব্দুল হামিদ জানান, পাটকলগুলোর ১০ থেকে ১১ সপ্তাহের মজুরী বকেয়া রয়েছে, এদিকে পে-কমিশন প্রদান এবং ৫টি সংস্থায় মজুরী কমিশন প্রদান করছে সরকার। শুধু পাটকল শ্রমিকদের মজুরী কমিশন বাস্তবায়ন করছেনা, ফলে শ্রমিকদের আন্দোলন করা ছাড়া আর কোন পথ নেই।