স্ত্রী-সন্তানকে ফিরে পেতে দৌলতপুরের যুবক সমাজপতিদের দ্বারে দ্বারে!
তালা (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি
নগদ অর্থ, স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়ে আসা স্ত্রীকে ফেরত নিতে এসে শ্বশুর বাড়ীর লোকজনদের হাতে মারপীটে মা, ভাই সহ রক্তাক্ত জখম হয়েছে আলাউদ্দিন। তারপরেও হত্যার হুমকী উপেক্ষা করে ৩ বছরের শিশু সন্তাননের ভবিষ্যতের কথা ভেবে স্ত্রী -সন্তানকে ফিরে পেতে প্রশাসন সহ সমাজপতিদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছে খুলনার দৌলতপুরের আলাউদ্দীন নামের এক যুবক।
খুলনার দৌলতপুর থানাধীন দক্ষিণ পাবলা গ্রামের নূরালী সরদার বাছার ছেলে আলাউদ্দিন সরদার জানান, ধর্মীয় বিধান মেনে খুলনা জেলা নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে গত ১৪/০৪/২০১৬ ইং তারিখে ৫০,০০০ টাকা দেনমোহরে সাতক্ষীরা জেলার তালা থানাধীন হরিহর নগর গ্রামের মোঃ আবুল হোসেন শেখের মেয়ে মোছাঃ তুলি আক্তারের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হই। সুখের সংসারে মারজান (৩) নামের একটি পূত্র সন্তানও রয়েছে। বিয়ের পর আমার স্ত্রী তুলি আক্তাতারের উশৃঙ্খলা পরকীয়ার এক পর্যায়ে জানতে পারি সে বহু বিবাহের নায়িকা, একজন পরসম্পদলোভী, যেীতুকলোভী। বিগত ২৭/০৭/২০১১ সালে খুলনা জেলার কয়রা উপজেলার নাকশা গ্রামে আজগার আলীর ছেলে ইসমাইল হোসেন এবং ১৩/১১/২০১৫ সালে সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলার জেঠুয়া গ্রামের সালাম ফকিরের ছেলে আবজাল হোসেনের সাথে আমার স্ত্রী’র বিয়ে হয়েছিলো, যা আমার স্ত্রী কখনোই আমাকে জানায়নি। এতদসত্বেও আমার স্ত্রীকে সংসারে মনোযোগী হওয়ার পরামর্শ দিই। কিন্তু সে আমার কথায় কর্নপাত না করে তার পূর্বের স্বামীসহ পরপুরুষের সাথে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তোলে।
গত বছরের পহেলা অক্টোবর আমার স্ত্রী তার ভাইয়ের বিয়ের উদ্দেশ্যে বাবার বাড়ী তালা উপজেলার হরিহর নগর গ্রামে যায়। তার ভাই মোঃ আলামিন হোসেনও একজন বহু বিয়ের নায়ক। এপর্যন্ত ৫টি বিয়ে করেছে সে। ১১ অক্টোবর ২০১৯ ভায়ের বিয়ের পর ১৩ অক্টোবর আমাকে না জানিয়ে আমি আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলনার দেীলতপুরে থাকার সুযোগে খুলনায় আমার বাসা থেকে নগদ ৩০,০০০ টাকা, ৪ ভরি ওজনের সর্নের গহনা, ৬টি ডিপিএস-এর বইসহ দামী সব জিনিসপত্র নিয়ে বাবার বাড়ীতে চলে যায়। এরপর মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে র্ব্যথ হই। আমার স্ত্রীকে আনার উদ্দেশ্যে গত ২ নভেম্বর ২০১৯ আমার মা ও ভাইকে নিয়ে তালার হরিহরনগরে আমার শশুর বাড়ীতে যাওয়া মাত্র হামলা চালিয়ে মোটর সাইকেলটি ভাংচুর আমাদের রক্তাক্ত জখম করে। এসময় স্থানীয় ইউপি মেম্বর শামসুল হক মোড়ল সহ এলাকাবাসী আমাদেরকে উদ্ধার করে তালা হাসপাতালে নিয়ে আসে। এরপর ইউপি মেম্বর শামসুল হক মোড়লের সহযোগীতায় পরদিন খেশরা পুলিশ ক্যাম্পে লিখিত অভিযোগ জানাই। ক্যাম্পের আইসি’র হস্তক্ষেপে আমাদের মোটর সাইকেল ও ৬টি ডিপিএস-এর বই উদ্ধার হয়। ক্যাম্প আইসি উভয়ের মধ্যে আপোষ মীমাংসার জন্য ডাকলে শামসুল মেম্বর বাড়ীতে গিয়ে সমাধান দায়িত্ব নেন। ক্যাম্পের আইসি ইসমাইল হোসেনের ানুমতিকম ৩/৪ বার সময় শালিস এর দিন ধার্য হলেও আমার স্ত্রী ও শশুর বাড়ীর লোক হাজির না হয়ে উপরন্ত আমাকে আসামী করে ১২/১১/১৯ ইং তারিখে সাতক্ষীরা জেলা ও দায়রা জর্জ আদালতের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ট্রাইবুনালে মামলা করেছেন। বর্তমানে উক্ত মামলা তুলে নেয়ার আশ্বাসে আমার শশুর, শাশুড়ি ও আমার স্ত্রী মোবাইল ফোনে আমার কাছে ৫ লাখ টাকা দাবী করছেন। মিথ্যা মামলা থেকে রহায় পেতে এবং স্ত্রী সন্তানকে ফিরে পেতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগী আলাউদ্দিন ।