সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনী প্রস্তুত
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
ক্রমেই শক্তিশালী আকার ধারণ করা ঘূর্ণিঝড় ফণি পরবর্তী জরুরি উদ্ধার ও ত্রাণ সহায়তাসহ যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছে সেনা, নৌ এবং বিমানবাহিনী। গতকাল বৃহস্পতিবার আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্র বলছে, আজ শুক্রবার থেকে বাংলাদেশে ‘ফণি’র প্রভাব শুরু হতে পারে। এদিন সন্ধ্যায় বাংলাদেশ উপকূলে ‘ফণি’ আঘাত হানতে পারে। এদিকে, ফণি আরো শক্তিশালী হয়ে ওঠায় বাংলাদেশের সমুদ্রবন্দরগুলোতে সতর্কতার মাত্রা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরে সাত নম্বর বিপদ সংকেত, চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরে ছয় নম্বর ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে চার নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
দুর্যোগ মোকাবিলায় বুধবার থেকেই প্রস্তুতি শুরু করেছে বাংলাদেশ সরকার। ফণির প্রভাবে বাংলাদেশের উপকূলীয় জেলাসমূহের নিম্নাঞ্চল ৪-৫ ফুট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ¡াসে প্লাবিত এবং ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
ভারতের আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী শুক্রবার বিকেলে ওড়িশায় আছড়ে পড়তে পারে ফণি। স্থলভূমিতে আছড়ে পড়ার সময় ঘণ্টায় সর্বাধিক ২০০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বইতে পারে।