সুবর্ণচরে ধর্ষণের আলামত মিলেছে : চিকিৎসক
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
নোয়াখালীর সুবর্ণচরে ছয় সন্তানের জননী সেই নারীকে ধর্ষণের আলামাত পাওয়ার কথা জানিয়েছেন চিকিৎসক। নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) সৈয়দ মহিউদ্দিন আবদুল আজিম এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
আরএমও আজিম জানান, সকল পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর প্রাপ্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী মেডিকেল বোর্ড ভুক্তভোগী ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে প্রতিবেদন দিয়েছে। প্রতিবেদনটি পুলিশ সুপারের কাছে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ সুপার ইলিয়াছ শরীফ বলেন, প্রতিবেদনটি এখনও তার হাতে পৌঁছেনি। প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
গত ৩১ মার্চ নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটের দ্বন্দ্বে স্বামীকে আটকে রেখে ছয় সন্তানের জননীকে দলবেঁধে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে।
এসপি বলেন, এই মামলার প্রধান আসামি আবুল কালাম ওরফে বেচু মাঝি (৩৫) বুধবার আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন। জেলার ২ নম্বর আমলী আদালতের বিচারক নবনীতা গুহ আবেদন নাকচ করে তাকে জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।
এসপি আরও জানান, এছাড়া জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মামলার অপর দুই আসামির মধ্যে আবুল বাশারকে তিন দিন ও ইউসুফ মাঝিকে দুই দিনের হেফাজতে (রিমান্ড) নেওয়ার আদেশ দিয়েছে একই আদালত।
চরজব্বার থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ইব্রাহিম খলিল বলেন, এ মামলায় এ পর্যন্ত পাঁচ জনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে এবং একজন স্বেচ্ছায়েআদালতে হাজির হয়েছে।
মামলার অভিযোগ, গত রোববার রাতে চরজব্বার বাজার থেকে স্বামীর মোটরসাইকেল যোগে বাড়ি ফেরার পথে ইউসুফ মাঝি ও বেচু মাঝির নেতৃত্বে ১০-১২ জন তাদের গতিরোধ করে মারধর করে। পরে স্বামীকে আটকে রেখে ওই নারীকে পাশের কলা বাগানে নিয়ে ধর্ষণ করে বেচু মাঝি, ফজলু ও আবুল বাসার। পরদিন নির্যাতিতার স্বামী আটজনের নাম উলেখসহ অজ্ঞাত পরিচয় আরও চার জনকে আসামি করে চর জব্বার থানায় মামলা দায়ের করেন।