সিলেটে বন্দুকযুদ্ধে শীর্ষ সন্ত্রাসীসহ নিহত ২
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
সিলেটের দুই উপজেলায় র্যাব ও পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে দুই ব্যক্তি নিহত হয়েছেন, যাদের একজন ‘শীর্ষ সন্ত্রাসী’ ও অপরজন ‘ডাকাত’ বলছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। শুক্রবার রাতে গোলাপগঞ্জ ও বিশ্বনাথ উপজেলায় এই দুটি ঘটনা ঘটে বলে র্যাব ও পুলিশ জানিয়েছে। নিহতরা হলেন আলী হোসেন (৪০) এবং বিশ্বনাথ উপজেলার পূর্বপাড়া গ্রামের মৃত ইদ্রিছ আলীর ছেলে তরাজ মিয়া।
র্যাব-৯ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মনিরুজ্জামান বলেন, হত্যাসহ একাধিক মামলার আসামি ‘শীর্ষ সন্ত্রাসী’ আলী হোসেনকে গ্রেপ্তারের জন্য শুক্রবার রাতে গোলাপগঞ্জ উপজেলার কদুপুরে অভিযান চালানো হয়। এ সময় আলী হোসেন ও তার সহযোগীরা র্যাব সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। র্যাবও পাল্টা গুলি ছুড়লে গুলিবিদ্ধ হয়ে আলী হোসেন মারা যান। এ সময় আলী হোসেনের পাঁচ সহযোগীকে আটক করা হয়েছে বলেও মনিরুজ্জামান জানান।
মনিরুজ্জামান আরও বলেন, সন্ত্রাসীদের গুলিতে র্যাবের এক সদস্য আহত হয়েছেন; তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদিকে, বিশ্বনাথ থানার ওসি শামীম মুসা বলেন, শুক্রবার রাতে বিশ্বনাথ উপজেলা সদরের বিশ্বনাথ-জগন্নাথপুর বাইপাস সড়কে মরমপুর-সুরিরখালের মধ্যবর্তী স্থানে সড়কে গাছ ফেলে ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিল একদল অস্ত্রধারী।
ওই পথে পুলিশের একটি টহল দল যাওয়ার সময় ডাকাতরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এতে টহলদলে থাকা এসআই মিজানুর রহমান মিজান, কনস্টেবল চন্দন গৌর ও রাসেল দাস গুলিবিদ্ধ হন। তাদেরকে পুলিশ লাইন্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে ওসি শামীম মুসা জানান।
তিনি আরও বলেন, ডাকাতের আক্রমণের খবর পেয়ে তিনি নিজে (ওসি শামীম), পরিদর্শক (তদন্ত) রমাপ্রসাদ চক্রবর্তীর নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছলে ডাকাতরা গুলি ছুঁড়তে ছুঁড়তে পালানোর চেষ্টা করে। এ সময় পুলিশও পাল্টা গুলি ছুঁড়লে ঘটনাস্থলের কাছ থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় এক ডাকাত সদস্যের লাশ উদ্ধার করা হয়। ওসি আরও জানান, নিহত ব্যক্তির হাতে একটি দেশীয় পাইপগান ধরা ছিল এবং তার দেহ তল্লাশি করে তিন রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।