সাইতারের পথে পর্ব ৩
অনিক সাহা
এক প্রকার যুদ্ধ করে চাঁদের গাড়ির পিছনের ঝুলে থাকার বিষয়টা নিশ্চিত করলাম, ৪৫ মিনিটের মত লাগলো রোয়াংছড়িতে পৌঁছাতে, নেমেই সকালে খাবার খেলাম – ভাত, ডাল, ডিম ভাজি আর আলুর চপ । অমৃতের মত স্বাদ ছিল যেন, কিছু বাদে আমাদের গাইড রুয়াল দাদা একটা দুঃসংবাদ জানালো , বললেন নৌকা নাই কোনো, আর্মিরা কোনো কারণে সব নৌকা নিয়ে গেছে, বিকল্প হিসেবে আমরা খানিক দূর চাঁদের গাড়িতে করে যেতে পারি, অগত্যা কি আর করা !! চাঁদের গাড়ি ডাকার ব্যবস্থা করতে লাগলেন দাদা।
আমার মাথায় তখনও ব্যাগের চিন্তা, মুচি খুঁজতে শুরু করলাম, শেষমেশ ব্যার্থ হয়ে পাশের দোকান থেকে সুই-সুতা নিলাম, নিজেই ঠিক করে নিবো। ব্যাগ সেলাইয়ের কসরত শুরু করতেই মানসী বললো, “পারিস তো সেলাই করতে?”
আমি যথেষ্ট কনফিডেন্স নিয়ে বললাম, পারবো না কেন??
কি জানি আমার সেলাই করার অবস্থা দেখেই সে নিজেই আমার ব্যাগ সেলাই করা শুরু করলো।
আর বললো আমার ইচ্ছা সার্জন হবার, সেলাই কিভাবে করতে হয় দেখে নাও। মুগ্ধ হয়ে দেখতে লাগলাম তার সেলাই নৈপুন্য।
পুনশ্চঃ চাঁদের গাড়িকে খবর দেওয়া হয়েছে, আসতে সময় লাগবে, আমরা শুরু করলাম আশপাশ ঘুরে দেখা, ছবিও তোলা হল বেশ কিছু । মামুন আর নাদিম গিয়ে ট্রাকিং সেন্ডেল কিনতে লাগলো, আমার আবার ভুলো মন, ব্রাশ নিতে ভুলে গেছিলাম, গেলাম ব্রাশ কিনতে।
পর্ব ২ঃ http://dakhinanchal.com/?p=3215