সংঘর্ষের পর জবি ছাত্রলীগের কার্যক্রম স্থগিত
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
দিনভর দফায় দফায় সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার পর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক কার্যক্রম স্থগিত করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। গতকাল রবিবার সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে পাঁচজন আহত হয়েছেন। তাদেরকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা জানিয়েছেন, প্রেমঘটিত কারণে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক পক্ষের কর্মী তুহিনকে মারধর করে সভাপতি পক্ষের কর্মীরা। পরে সাধারণ সম্পাদকের কর্মীরা একত্রিত হয়ে সভাপতি পক্ষের কর্মী নয়ন ও রিফাতকে মারধর করে ।এর জেরে রবিবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে ক্যাম্পাসে দুই পক্ষের মধ্যে থেমে থেমে সংঘর্ষ ও অস্ত্রের মহড়া চলে।
সংঘর্ষের সময় সাধারণ সম্পাদক পক্ষের কর্মীরা ক্যাম্পাসে অবস্থান নিলে সভাপতি পক্ষের কয়েক সমর্থককে হেলমেট পরে দেশিয় অস্ত্র নিয়ে তাদের ধাওয়া করতে দেখা যায়। পরে পুলিশের সহায়তায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
বিকালে কোতোয়ালী থানার ওসি মশিউর রহমান বলেন, আগের একটি ঘটনার জের ধরে আজকের ঘটনা ঘটেছে শুনেছি। এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।
সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক কার্যক্রম স্থগিতের সিদ্ধান্ত আসে।
‘ক্যাম্পাসের স্থিতিশীলতা ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ধরে রাখতে ব্যর্থতা’ এবং ‘দলীয় শৃঙ্খলা সমুন্নত রাখতে নেতাদের আন্তরিকতা ও সদিচ্ছার ঘাটতির’ কারণে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক কার্যক্রম স্থগিত করার কথা বলা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।
ঘটনা তদন্তে কেন্দ্রীয় নেতা সোহান খান, আরেফিন সিদ্দিক সুজন, আল নাহিয়ান জয়, ইয়াদ আল রিয়াদকে নিয়ে চার সদস্যের কমিটিও গঠন করা হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
সংঘর্ষের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ জয়নুল আবেদীন রাসেল বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ভিসি স্যার ও প্রক্টর স্যারের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি তদের বিরুদ্ধে একাডেমিক সিদ্ধান্ত নিতে।
এ বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি তরিকুল ইসলামকে ফোন করা হলেও তিনি কল ধরেননি। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর নূর মোহাম্মদ বলেন, পূর্বের একটি ঘটনার জের ধরে সংঘর্ষ হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আমরা ব্যবস্থা নেব।