October 8, 2024
আঞ্চলিকলেটেস্টশিক্ষাসাক্ষাৎকার ও মতামত

শিক্ষার্থীদের ভাবনায় মুজিববর্ষের চেতনা

আসাদুল্লাহ, শিক্ষার্থী, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।
বঙ্গবন্ধু এক অমর নাম। যে নামের সাথে মিশে আছে স্বধীনতার অমর কবিতা। একমাত্র তিনিই বাঙালী জাতিকে স্বাধীনতার অমৃত সুধা পান করিয়েছিলেন । সংগ্রাম, ত্যাগ আর মুক্তির সংমিশ্রনে অসাধারণ নাম বঙ্গবন্ধু। স্বাধীনতার আহ্বান,নেতৃত্বের বলিষ্ঠ মহানায়ক তিনি।তার আদর্শকে ধারন করে,তার স্বপ্ন বাস্তায়নের মধ্য দিয়ে উৎযাপিত হোক বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী।

তারেক জামিল, শিক্ষার্থী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।
বঙ্গবন্ধু ও বাঙালি অভিন্ন সত্ত¡া। বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে বাঙালি জাতির মুক্তি হতো না। তার জীবনের আরাধ্য সাধনা ছিলো বাঙালি জাতিকে মুক্ত করে এক শোষণহীন বৈষম্যহীন অসাপ্রদায়িক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করা। তখন বাংলাদেশকে উপহার দিয়েছিলেন স্বাধীনতা, পূরন করেছিলেন তার স্বপ্ন । আজ আমরা স্বাধীন বাংলাদেশের অধিবাসী হয়ে স্বাধীনভাবে বাচাঁর সুযোগ পেয়েছি তার কল্যানে । এখন আমরা আমাদের শিক্ষার হার, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার সহ এক উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখি। আমাদের কে স্বপ্ন দেথতে শিখিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু । তার আদর্শকে বাস্তবায়ন করতে সরকারের পশাপাশি তরুণ প্রজন্মকে এগিয়ে আসতে হবে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়নই হোক তার জন্মশতবার্ষিকীর একমাত্র চেতনা।

সাদিয়া আফরিন ,শিক্ষার্থী, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ।
বঙ্গবন্ধু শুধু একটি নাম নয় একটি আন্দোলন, একটি মুক্তিযুদ্ধ আর পরিশেষে একটি স্বাধীন দেশ। বঙ্গবন্ধুর অসংখ্য বক্তব্যের মধ্যে ১৯৭৫ সালের ১১ জানুয়ারিতে দেওয়া একটা বক্তব্যে তিনি বলেছিলেন আমাদের মানুষ হতে হবে, আমরা মাঝে মাঝে অমানবিক হয়ে যাই। পাকিস্তানের রক্তচক্ষু যখন বঙ্গবন্ধুর উপর তখনও তিনি দাড়িযে ছিলেন একবুক সাহস, ধৈর্য আর প্রজ্ঞা নিয়ে। জীবদ্দশায় ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারীদের জন্য আন্দোলন করে বহিষ্কৃত হয়েছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। আজকের তরুণ প্রজন্ম যদি তার এই আদর্শে উজ্জীবীত হয়ে দেশকে ভালোবাসতে পারি, দেশের মানুষের জন্য কাজ করতে পারি তাহলে বাংলাদেশ সত্যিই তার স্বপ্নের সোনার বাংলা হবে। আর এটাই যেন হয় আমাদের মুজিববর্ষের চেতনা।

মোঃ তাওহীদ মোড়ল,শিক্ষার্থী,বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়,গোপালগঞ্জ।
১৭ মার্চ ২০২০ বাঙালির স্বাধীনতার মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শততম জন্মবার্ষিকী। স্বাধীনতা পরবর্তী যুদ্ধবিধ্বস্ত সময়ে আমাদের ছিল না কোনো অর্থনীতি, ছিল না কোনো বৈদেশিক রিজার্ভ, তবুও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দূরদর্শিতাই ঘুরে দাঁড়িয়েছিল বাংলাদেশ। যা প্রকৃত পক্ষেই বাংলাদেশসহ বহির্বিশ্বের কাছে একটি রোল মডেল। আমরা বর্তমান তরুণ প্রজন্ম যদি সেই থেকে শিক্ষা গ্রহণ করি তবে অদম্য ইচ্ছা শক্তির কাছে কোনো বাধাই বাধা বলে গণ্য হবে না। বর্তমান প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে টিকে থাকতে এবং বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে সুদৃঢ় দেশপ্রেম এবং বঙ্গবন্ধুর আদর্শই হতে পারে তরুণ প্রজন্মের অনন্য এক হাতিয়ার। মুজিববর্ষে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত হোক তরুণ প্রজন্ম।

মো: ইমদাদুল ইসলাম, শিক্ষার্থী,বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়
বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ, বাঙালি জাতিসত্তা, স্বাধীনতা ও বাংলাদেশ এক ও অভিন্ন। স্বাগত জানাই স্বাধীনতার মহান স্থপতি, কালজয়ী সূর্য-পুরুষ, ক্ষণজন্মা রাজনীতির কবি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীকে। ১৭ মার্চ থেকে পালিত হবে মুজিববর্ষ। মুজিববর্ষ পালনের মধ্য দিয়ে নতুন প্রজন্মের প্রতিশ্রুতি হোক, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ থেকে তার যাপিত জীবন এবং রাজনৈতিক ও উন্নয়ন দর্শন থেকে শিক্ষা নেয়া ও তার মহান ইতিহাস বিকৃতির চেষ্টাকারীদের প্রতিহত করা। আরও প্রতিশ্রুতি হোক, সুখী-সমৃদ্ধ দেশ গঠনে এবং মাদক-দুর্নীতি-সন্ত্রাসমুক্ত ও শোষণহীন সমাজ গঠনে আত্মনিয়োগের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করা। মুজিববর্ষ পালনের মধ্য দিয়েই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা, যেখানে জনমানুষের সত্যিকারের মুক্তি ঘটবে-রচনার পথ হবে প্রশস্ত।
লেখাগুলো সংগ্রহ করেছেন রেজওয়ান আহম্মেদ, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *