December 7, 2024
জাতীয়

রোহিঙ্গা সমাবেশ নিয়ে আমরা চিন্তিত নই : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক

কক্সাবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গাদের সা¤প্রতিক সমাবেশ নিয়ে সরকার চিন্তিত নয় বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ ব্যাংক বঙ্গবন্ধু পরিষদ আয়োজিত জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা শেষে বের হওয়ার সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

সাংবাদিকরা জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, হুমকির কোনো কারণই নেই, তারা এখানে আশ্রয় নিয়েছে। এখানে এগারো লাখের মতো রোহিঙ্গা রয়েছে। আমি মনে করি না এটা কোনো হুমকি।

গত ২৬ আগস্ট গ্রেপ্তার হওয়া চারজন মিয়ানমারের নাগরিক দেশটির গোয়েন্দা সংস্থার কোনো সদস্য বা তারা আসলে কারা জানতে চাইলে আসাদুজ্জামান খান বলেন, এরকম ঘটনা সব সময়ই ঘটে থাকে, কেউ ভুলবসত সীমানা ক্রসও করে ফেলে, কিংবা কোনো উদ্দেশ্য নিয়ে প্রবেশ করে। এগুলো তদন্তের পর বলবো, এর আগে বলা যাবে না।

বঙ্গবন্ধুর খুনিরা আওয়ামী লীগের ভেতরেই রয়েছে এমন অভিযোগের বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিএনপি তো অনেক কিছুই বলে, সেগুলো আপনারাই জাননে, এ নিয়ে আমার কিছু বলার নেই।

সড়ক দুর্ঘটনায় বিআইডব্লিউটিসির কর্মকর্তা কৃষ্ণা পা হারানোর পর তারা মামলা করেছে এবং দোষীদের গ্রেফতারের ব্যাপারে অগ্রগতির বিষয়ে আরেক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পা হারানো বিআইডব্লিউটিসির কর্মকর্তা কৃষ্ণার দুর্ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।

এর আগে জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, শেখ হাসিনাকে ১৯ বার হত্যাচেষ্টা করা হয়েছিল। ষড়যন্ত্র এখনো থেমে নেই। এজন্য আমাদের আরও সর্তক থাকতে হবে।

বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) সন্ধ্যায় বাংলাদেশ ব্যাংক বঙ্গবন্ধু পরিষদ আয়োজিত জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

কামাল বলেন, বঙ্গবন্ধু সবার হৃদয় জয় করতে পেরেছিল। দেশের মানুষ আজ জানতে চায় তখনকার পাকিস্তান বঙ্গবন্ধুকে কীভাবে রেখেছিলো। বঙ্গবন্ধুর যতগুলো শ্রেষ্ঠ বক্তৃতা রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম ৭ মার্চের বক্তব্য (এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম) ইউনেস্কোর স্বীকৃতি পেয়েছে।

বঙ্গমাতার অবদানের কথা উলে­খ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু কারাগারে যাওয়ার সময় বঙ্গমাতা একটি ডায়েরি ও কলম দিয়ে দিতেন। পরবর্তী সময়ে বঙ্গবন্ধুর লেখা ডায়েরি থেকেই আমরা বিভিন্ন তথ্য জানতে পেরেছি।

‘বঙ্গবন্ধুর মুক্তির আন্দোলনের পর পাকিস্তানিরা প্যারোলে মুক্তির প্রস্তাব দিলে তার বিরোধিতা করেন বঙ্গমাতা। বঙ্গমাতা বলেন, প্যারোলে নয়, বঙ্গবন্ধু স্বাধীনভাবে বের হয়ে আসবে’।

আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, বঙ্গবন্ধু জানতেন আমাদের আলোচনার মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জন করা সম্ভব হবে না। তাই সবাইকে সর্বাত্মক সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহŸান জানিয়েছিলেন।

আলোচনা ফলপ্রসূ হবে না জেনেও আলোচনা করেছেন, কারণ তিনি কোনো কিছু বাদ দিতে চাননি। মৃত বঙ্গবন্ধু যে শক্তিতে রূপান্তরিত হয়েছিল সেই শক্তি নিয়ে আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির বলেন, বঙ্গবন্ধু সব সময় আরাম-আয়েশ ত্যাগ করে সাধারণ মানুষের জন্য সংগ্রাম করেছেন।

অনুষ্ঠানের উদ্বোধক বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও গবেষণা পরিষদের সভাপতি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার পরিকল্পনাকারীদের অনেকে এখনো বিচারের বাইরে রয়ে গেছেন। এদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনার জন্য একটি কমিটি গঠন করা দরকার।

তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর কথা শুধু মুখে বললেই হবে না, অন্তরে ধারণ করতে হবে। এতে আমাদের মধ্যে সততা ও দেশ প্রেমের কোনো ঘাটতি হবে না। তরুণ প্রজন্ম বঙ্গবন্ধুকে না দেখার পরেও যেভাবে ধারণ করে তাতে মনে হয়, বঙ্গবন্ধু আমাদের আশাপাশেই রয়েছেন।

আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এসএম মনিরুজ্জামান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক প্রফেসর খুরশীদা বেগম সাইদ প্রমুখ। সভাপতিত্ব করেন বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও গবেষণা পরিষদ বাংলাদেশ শাখার সভাপতি মো. ছিদ্দিকুর রহমান মোল­া।

 

 

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *