রোহিঙ্গাদের জন্য এ বছর ৮৭ কোটি ডলার চায় জাতিসংঘ
রোহিঙ্গা সংকট মোকাবেলায় চলতি বছর ৮৭ কোটি ৭০ লাখ ডলার প্রয়োজন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।
জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা এবং সহযোগী এনজিও যে যৌথ কর্মপরিকল্পনা (জেআরপি) ঘোষণা করেছে, সেখানেই উন্নয়ন সহযোগীদের কাছে এই অর্থ চাওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মিয়ানমার থেকে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়ে থাকা প্রায় ৮ লাখ ৫৫ হাজার রোহিঙ্গার পাশাপাশি রোহিঙ্গা সঙ্কটের কারণে দুদর্শায় পড়া ৪ লাখ ৪৪ হাজার বাংলাদেশির জন্য ব্যয় হবে এই অর্থ ।
ইউএনএইচসিআরের হাই কমিশনার ফিলিপো গ্র্যান্ডি বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের অবস্থান এবং ভবিষ্যতে তাদের নিরাপদ ও টেকসই প্রত্যাবাসন- দুই ক্ষেত্রেই তাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ২০২০ সালের এই যৌথ কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন গুরুত্বপূর্ণ।
যতদিন না নিরাপদ ও টেকসই প্রত্যাবাসন সম্ভব হচ্ছে, ততদিন রোহিঙ্গাদের পাশাপশি বাংলাদেশের সঙ্গে থাকতে বিশ্ববাসীর প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
যৌথ কর্মপরিকল্পনায় বলা হয়েছে, ওই ৮৭ কোটি ৭০ লাখ ডলারের ৫৫ শতাংশই প্রয়োজন হবে খাদ্য, আশ্রয়, সুপেয় পানি এবং পয়ঃনিষ্কাশনের মত জরুরি সেবা নিশ্চিত করতে।
এছাড়া রোহিঙ্গা শরণার্থীদের স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা, শিক্ষা, আশ্রয়কেন্দ্রের ব্যবস্থাপনা, জ্বালানি ও পরিবেশ সংক্রান্ত কার্যক্রম অব্যাহত রাখার পাশাপাশি স্থানীয় বাংলাদেশিদের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে বাকি অর্থ প্রয়োজন বলে জানানো হয়েছে পরিকল্পনায়।
জাতিসংঘের অভিবাসন সংস্থা আইওএম এর মহাপরিচালক আন্তোনিও ভিতোরিনো বলেন, ২০১৭ সালের আগস্টে এ সঙ্কটের সূচনা থেকেই আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থাগুলো শরণার্থীদের জীবন রক্ষার জন্য জরুরি সহায়তা দিয়ে আসছে। ২০১৯ সালে ক্যাম্পে থাকা সব রোহিঙ্গার বায়োমেট্রিক নিবন্ধনের কাজ শেষ হয়েছে, যা একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি।
গতবছর যৌথ কর্মপরিকল্পনায় ৯২ কোটি ১০ লাখ ডলারের তহবিল চেয়েছিল জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা ও সহযোগী এনজিও। এর মধ্যে তারা হাতে পেয়েছিল ৬৫ কোটি ডলার, যা প্রত্যাশার ৭০ শতাংশের মত।