রাজাকারের তালিকা নিয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
রাজাকারসহ স্বাধীনতাবিরোধীদের তালিকায় মুক্তিযোদ্ধাদের নাম অন্তুর্ভুক্তির ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত চেয়েছে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকাল রাজধানীর সেগুনবাগিচার ডিআরইউ মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির সভাপতি শাহরিয়ার কবীর এ দাবি তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, রাজাকার ও স্বাধীনতাবিরোধীদের তালিকায় অজ্ঞতাবশত কোনো গুরুত্বপূর্ণ স্বাধীনতাবিরোধীর নাম বাদ পড়তে পারে, কিন্তু রাজাকারের তালিকায় কোনো মুক্তিযোদ্ধা বা শহীদ পরিবারের কারো নাম যুক্ত হওয়া শুধু ভুল নয় গুরুতর অপরাধ বলে আমরা মনে করি।এ ধরণের অপরাধের জন্য কারা দায়ী তা তদন্ত করার জন্য আমাদের এই বিচার বিভাগীয় কমিশন গঠনের দাবি। একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সহ-সভাপতি অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন ও শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক কাজী মুকুল এসময় সেখানে ছিলেন।
গত ১৫ ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় ১০ হাজার ৭৮৯ জন ‘স্বাধীনতাবিরোধীর’ যে তালিকা প্রকাশ করেছে, তাতে বিভিন্ন এলাকার মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও আওয়ামী লীগ নেতাদের অনেকের নাম রয়েছে। বরিশালের মুক্তিযোদ্ধা আইনজীবী তপন কুমার চক্রবর্তী ও রাজশাহীর মুক্তিযোদ্ধা যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান কৌঁসুলি অ্যাডভোকেট গোলাম আরিফও রাজাকারের তালিকায় ঠাঁই পেয়েছেন।
এই ঘটনার নিন্দা জানিয়ে তালিকা তৈরি পেছনে কাদের হাত রয়েছে তার খুঁজে বের করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সরকারের প্রতি আহŸান জানিয়েছে ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন। গেজেটেড মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের রাজাকারের তালিকায় নাম আসায় ক্ষোভ-বিক্ষোভের মধ্যে প্রকাশের তিন দিনের মাথায় বুধবার ওই তালিকা স্থগিত করেছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
এর কয়েক ঘণ্টা পরে গতকাল সন্ধ্যায় গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে সূচনা বক্তব্যে ওই তালিকা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীও অসন্তোষ প্রকাশ করেন।