রাঙামাটিতে ২ যুবককে গুলি করে হত্যা
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলায় গুলি করে দুই যুবককে হত্যা করেছে অজ্ঞাত হামলাকারীরা। গতকাল সোমবার বিকালে রাইখালিতে এ ঘটনা ঘটে বলে জানান কাপ্তাইয়ের চন্দ্রঘোনা থানার ওসি আশরাফ উদ্দিন। নিহতরা হলেন রাইখালি বাজারের বটতলীর থুইলাচিং মারমার ছেলে মংসানু মারমা (৪০) এবং একই ইউনিয়নের আরব আলীর ছেলে জাহিদ হোসেন (২২)। এরা দুজন বন্ধু ছিলেন বলে স্থানীয়রা জানান। এদিকে, নিহতদের নিজেদের কর্মী দাবি করে হত্যাকাণ্ডের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে রাঙামাটি জেলা আওয়ামী লীগ।
তারা এই হত্যাকাণ্ডের জন্য সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতিকে (পিসিজেএসএস) দায়ী করেছে। তবে জনসংহতি সমিতির কেউ এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি। স্থানীয়দের বরাত দিয়ে ওসি আশরাফ উদ্দিন বলেন, এলাকায় একটি চায়ের দোকানে বসে চা পান করার সময় তাদের উপর হামলা চালায় একদল দুর্বৃত্ত। এতে ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়। আমি খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে এসে দুটি গুলিবিদ্ধ লাশ পড়ে থাকতে দেখছি; কিন্তু কারা কী কারণে এদের গুলি করে হত্যা করেছে সেটা কেউ জানাতে পারছে না। এর পেছনের কারণ বের করতে পুলিশ চেষ্টা করছে বলে ওসি জানান।
রাঙামাটি জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক রফিক আহমেদ তালুকদার এক বিবৃতিতে এই হত্যাকাণ্ডের জন্য সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতিকে দায়ী করেছেন। বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ রাঙামাটি পার্বত্য জেলা সভাপতি সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার এ হত্যাকান্ডের তীব্র নিন্দা এবং অবৈধ অস্ত্রধারী খুনি সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের জোর দাবি জানিয়েছেন।
রাঙামাটি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, সর্বশেষ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার পক্ষে কাজ করার কারণেই এই প্রতিশোধমূলক হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে জনসংহতি সমিতি। এই হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি এর সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
এই বিষয়ে জনসংহতি সমিতির কয়েকজন নেতার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা কথা বলতে কিংবা নাম প্রকাশ করতে রাজি হননি। নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় কয়েকজন জানান, নিহত মংসানু মারমা এক সময় জনসংহতি সমিতির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে তিনি দল ত্যাগ করেন। জাহিদ হোসেন ছিলেন তার বন্ধু।