যুবলীগ থেকে খালেদ ভূঁইয়া বহিষ্কার
ঢাকার ফকিরাপুল ইয়ংমেনস ক্লাবে ক্যাসিনো চালানোর অভিযোগে গ্রেপ্তার যুবলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে
যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ শুক্রবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সাম্প্রতিক সময়ে খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ ওঠায় কেন্দ্রীয় যুবলীগ জরুরি ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।”
বহিষ্কারের ক্ষেত্রে কী কারণ দেখানো হয়েছে জানতে চাইলে হারুন অর রশিদ জানান, “আপাতত খালেদ বহিষ্কার। পরবর্তী সিদ্ধান্ত পরে জানানো হবে।”
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত শনিবার আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় যুবলীগ নেতাদের নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশের পর আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনটির প্রভাবশালী নেতা খালেদকে ধরতে অভিযান নামে র্যাব।
বুধবার বিকাল থেকে গুলশান ২ নম্বরের ৫৯ নম্বর সড়কে খালেদের বাসা এবং ফকিরাপুল ইয়ংমেনস ক্লাবে একযোগে অভিযান শুরু করেন র্যাব সদস্যরা। শাহজাহানপুরের রেলওয়ে কলোনিতে বেড়ে ওঠা খালেদ ফকিরাপুলের ওই ক্লাবের সভাপতি।
কয়েক ঘণ্টার অভিযানে ওই ক্লাবে মদ আর জুয়ার বিপুল আয়োজন পাওয়া যায়। সেখান থেকে ২৪ লাখ টাকাও উদ্ধার করা হয়।
আর গুলশানের বাসা থেকে খালেদকে গ্রেপ্তারের পর তার বাসায় ৫৮৫টি ইয়াবা, বিপুল পরিমাণ বিদেশি মুদ্রা এবং অবৈধ অস্ত্র পাওয়ার কথা জানায় র্যাব।
এরপর বৃহস্পতিবার বিকালে তাকে গুলশান থানায় হস্তান্তর করে র্যাব। অস্ত্র, মাদক ও মুদ্রাপাচার আইনে তার বিরুদ্ধে তিনটি মামলা করা হয় ওই থানায়। আর মতিঝিল থানায় মাদক আইনে করা হয় আরেকটি মামলা।
রাতে খালেদকে ঢাকার মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে দুই মামলায় সাত দিন করে রিমান্ড চাওয়া হলে অস্ত্র মামলার চার দিন এবং মাদক মামলায় তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন দুই বিচারক।