October 30, 2024
আন্তর্জাতিকলেটেস্ট

যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র কিনবে তাইওয়ান

২০২২ সালে যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফরের পর থেকেই আরো আগ্রাসী হয়েছে চীন। যুদ্ধের আশঙ্কা বাড়িয়ে তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা বলয়ে বারবার প্রবেশ করছে চীনা যুদ্ধবিমান। শুধু তা-ই নয়, স্বশাসিত দ্বীপরাষ্ট্রটির প্রতিরক্ষা বলয়ে ঢুকছে চীনা রণতরিও। পাল্টা বেশ কয়েকটি যুদ্ধবিমান পাঠিয়ে কড়া বার্তা দিয়েছে দ্বীপরাষ্ট্রটির সেনাবাহিনী। এমন পরিস্থিতিতে ফের যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিপুল অস্ত্র কিনতে চলেছে তাইওয়ান।

এএফপি জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র থেকে দ্রুত ৫০ কোটি ডলারের যুদ্ধাস্ত্র কিনতে চলেছে তাইওয়ান। দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী চিউ কুয়ো চেং জানিয়েছেন, চলতি বছরই এই সমরাস্ত্রগুলো তারা পেতে চলেছেন। দেশের সংসদে তিনি জানান, বিগত দিনে যুক্তরাষ্ট্র থেকে অস্ত্র পেতে কিছুটা দেরি হয়েছে। তাই এই ৫০ কোটি ডলারের প্যাকেজ থেকে ফাস্টট্র্যাকের মাধ্যমে তাইওয়ানকে অস্ত্র দেওয়া হবে। তবে এই প্যাকেজে কোন কোন ধরনের অস্ত্র বা সরঞ্জাম থাকবে সে বিষয়ে খোলাসা করে কিছু বলেননি তাইওয়ানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী।

যুক্তরাষ্ট্র কয়েক দশক ধরে তাইওয়ানের কাছে অস্ত্র বিক্রি করেছে। কিন্তু গত সেপ্টেম্বর মাসে ‘তাইওয়ান পলিসি অ্যাক্ট’ আনে যুক্তরাষ্ট্র। এই আইনে তাইপেকে আরো দ্রুত সামরিক সাহায্য দেবে ওয়াশিংটন। এই আইনে চার বছরে তাইওয়ানকে প্রায় ৪৫০ কোটি টাকার অস্ত্র দেবে মার্কিন প্রশাসন।

উল্লেখ্য, রুশ-মার্কিন যুদ্ধের জেরে জমি থেকে আকাশে আঘাত হানতে সক্ষম বিমানবিধ্বংসী মার্কিন স্টিংগার ক্ষেপণাস্ত্রের জোগানে টান পড়েছে। এ ছাড়া চলতি বছর তাইওয়ানকে ৬৬টি অত্যাধুনিক এফ-১৬ যুদ্ধবিমান দেওয়ার কথা ছিল যুক্তরাষ্ট্রের। কিন্তু সেই সময় আরো পিছিয়ে দিয়েছে ওয়াশিংটন।

বিগত দিনে বেশ কয়েকবার তাইওয়ানের ‘এয়ার ডিফেন্স জোনে’ ঢুকে পড়ে চীনের যুদ্ধবিমান। চীনা সেনাবাহিনীর বিমানগুলর মধ্যে ছিল বোমারু যুদ্ধবিমান, এইচ-৬ বোমারু বিমান, সুখোই-৩০, ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার, সাবমেরিনধ্বংসী ও ট্যাংকার বিমান। পাল্টা নিজেদের যুদ্ধবিমান পাঠায় তাইওয়ান। শুধু তা-ই নয়, স্বশাসিত দ্বীপরাষ্ট্রটির প্রতিরক্ষা বলয়ে ঢুকে পড়ে চীনা রণতরিও।

শেয়ার করুন: