December 21, 2024
জাতীয়

মিয়ানমারের সেনাপ্রধানের সঙ্গে বাংলাদেশ সেনাপ্রধানের বৈঠক

দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক

মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর প্রধান মিন অং হ্লাইয়াং ও দেশটির একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে দ্বি-পাক্ষিক বৈঠক করেছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ। গত সোমবার মিয়ানমারের রাজধানী নেপিদোতে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে মিয়ানমার সেনাপ্রধান ছাড়াও দেশটির বিমানবাহিনী প্রধান, নৌবাহিনী প্রধানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সেনবাহিনী থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বৈঠকে আলোচনার মূল বিষয়গুলি হচ্ছে: যে কারণে রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে ফেরত যেতে নিরুৎসাহিত হচ্ছে তা তুলে ধরা হয়। এ লক্ষ্যে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, এশিয়ান হিউম্যানেটারিয়ান ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিম এবং রোহিঙ্গাদের প্রতিনিধিকে খুব শিগগিরই সেটেলমেন্ট এলাকা পরিদর্শনের জন্য মিয়ানমার আমন্ত্রণ জানাবে বলে জানায়।

বাংলাদেশ কর্তৃক বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে পরিকল্পিত বর্ডার রোড নির্মাণে মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও বিজিপি কর্তৃক সর্বাত্মক সহযোগিতার নিশ্চয়তা দেয়। বাংলাদেশ-মায়ানমার সীমান্তে স্থল মাইন এবং আইইডি (ওঊউ) এর উপস্থিতিতে বাংলাদেশের উদ্বেগের বিষয়টি জানানো হয়।

মিয়ানমার সামরিক হেলিকপ্টার এবং ড্রোন কর্তৃক বাংলাদেশের আকাশসীমা লঙ্ঘনের বিষয় তুলে ধরা হয়। সেন্টমার্টিন দ্বীপে ও তাদের ড্রোন পাঠানোর বিষয় তুলে ধরে বাংলাদেশের উদ্বেগের কথা জানানো হলে এ বিষয়ে তারা যথাযথ ব্যবস্থা নিবে বলে জানায়।

সীমান্ত এলাকার মিয়ানমারের অভ্যন্তরে মাদক কারখানার উপস্থিতি এবং সেই মাদক বাংলাদেশে প্রবেশে বাংলাদেশের উদ্বেগের বিষয়টি জানানো হয়। মাদক পাচারের বিরুদ্ধে মিয়ানমার সেনাবাহিনী সহযোগিতার আশ্বাস দেয়।

বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত এলাকায় যেকোন উদ্ভূদ পরিস্থিতিতে একে অপরের সাথে যোগাযোগের মাধ্যমে ভুল বোঝাবুঝি নিরসনে কাজ করতে সম্মত হয়। মিয়ানমার সেনাবাহিনী কেবলমাত্র কাউন্টার ইনসার্জেন্সি অপারেশন  এর জন্য সীমান্ত এলাকায় তাদের সৈন্য সমাবেশ ঘটায় বলে জানায়। তারা কখনও দুই দেশের সীমানা অতিক্রম না করার বিষয়ে আশ্বস্ত করার চেষ্টা করে।

বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত এলাকায় যেহেতু মিয়ানমার সেনাবাহিনী কাউন্টার ইনসার্জেন্সি অপারেশন পরিচালনা করছে, তাই তারা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সাহায্য চেয়েছে যে, যখন মিয়ানমার সেনাবাহিনী বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত এলাকায় কাউন্টার ইনসার্জেন্সি অপারেশন  তাড়া খেয়ে বাংলাদেশ ভূখণ্ডে এসে আশ্রয় নিতে না পারে। দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম বৃদ্ধি, বিভিন্ন পর্যায়ের সৌজন্যমূলক ভিজিট বৃদ্ধি ইত্যাদি আলোচনা হয়।

 

 

 

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *