ভোমরা বন্দর দিয়ে বাংলাদেশী পাসপোর্টধারীদের ভারতে প্রবেশ বন্ধ, ভারতীয়রা আসছেন অবাধে
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
করোনা ভাইরাসের কারনে সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে গতকাল শনিবার সকাল থেকে বাংলাদেশী পাসপোর্ট ধারী যাত্রীদের ভারতে প্রবেশ এক মাসের জন্য বন্ধ ঘোষনা করা হয়েছে। তবে, ভারতীয় পাসপোর্ট ধারী যাত্রীরা অবাধে বাংলাদেশে প্রবেশ করছেন। এছাড়া উভয় দেশের নাগরিক আগে যারা বাংলাদেশে এসেছে বা ভারতে গেছে তারা স্ব-স্ব দেশে ফিরতে পারছেন। এর ফলে শেষ দিন শুক্রবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত রেকর্ড পরিমান পাসপোর্টধারী যাত্রী ভারত-বাংলাদেশে যাতায়াত করেছেন।
ভোমরা ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিশ^জিৎ সরকার জানান, শুক্রবার সকাল থেকে বিকাল সাড়ে ৫ টা পর্যন্ত এ বন্দর দিয়ে ১ হাজার ৭৮৯ জন পার্সপোর্ট যাত্রী ভারত-বাংলাদেশ যাতায়াত করেছেন। এর মধ্যে ১ হাজার ৮১ জন পাসপোর্টধারী ভারতে গেছেন। পক্ষান্তরে ভারত থেকে ৭০৮ জন পাসপোর্টধারী যাত্রী বাংলাদেশে প্রবেশ করেছেন। যা অন্য দিনের তুলনায় অনেক বেশী। তিনি আরো জানান, ভারত থেকে যে সমস্ত পাসপোর্টধারী যাত্রী বাংলাদেশে প্রবেশ করছেন তাদের আগে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে এরপর যারা করোনা মুক্ত শুধু তাদেরকে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে। তবে, এ বন্দরে এখনও পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত কোন রোগী পাওয়া যায়নি।
এদিকে, ভোমরা স্থল বন্দরে দায়িত্বে থাকা মেডিকেল সহকারি আমিনুর রহমান জানান, জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের অধীনে গত ২৭ ফেব্রæয়ারি থেকে ১৩ মার্চ পর্যন্ত ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে আসা ১৬ হাজার ৬৩০ পাসপোর্টধারী যাত্রীর করোনা ভাইরাস পরীক্ষা করা হয়েছে। তবে কারও শরীরে করোনা ভাইরাসের কোনো লক্ষন পাওয়া যায়নি।
সাতক্ষীরার সিভিল সার্জন ডাঃ হুসাইন সাফায়েত জানান, ইতিমধ্যে উপজেলা পর্যায়ে ৫ বেডের ও জেলা পর্যায়ে ১০ বেডের আইসোলেশন ইউনিট উদ্বোধন করা হয়েছে। এছাড়া প্রত্যেক উপজেলায় একটি করে সাইক্লোন সেন্টার যেখানে ১০০ লোকের ধারন ক্ষমতা রয়েছে এবং জেলা পর্যায়ে যুব উন্নয়ন প্রশিক্ষন কেন্দ্রকে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার হিসেবে ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, ভারত সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ি ১৩ মার্চ সন্ধ্যা থেকে কোনো বাংলাদেশী পাসপোর্টধারি যাত্রী আগামী ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত ভারতে প্রবেশ করতে পারবেন না। একই সাথে এই সময়ে সকল বাংলাদেশিদের ভিসা প্রদানও স্থগিত করেছে দেশটি।