ভাইরাস আতঙ্কের মধ্যে সিভিল সার্জনের মেয়ের বিয়ে
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
নভেল করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে জনসমাগম এড়াতে সরকারি নির্দেশনার মধ্যে ছোট আয়োজনে মেয়ের বিয়ে দিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জন। গতকাল শুক্রবার জেলা শহরে সিভিল সার্জনের সরকারি বাসভবনে এই বিয়ে হয়।
এক মাস আগে এই বিয়ের তারিখ ঠিক হয়েছিল জানিয়ে সিভিল সার্জন ডা. শাহ আলম সাংবাদিকদের বলেছেন, অত্যন্ত সীমাবদ্ধ পরিবেশে পারিবারিক সদস্যদের নিয়ে এই আয়োজন করা হয়েছে। কোনো জনসমাগম করা হয়নি। এক লাখ পাঁচ হাজার টাকা কাবিনে সদর উপজেলার চিনাইর চাপুইর গ্রামের বাসিন্দা এক প্রকৌশলীর সঙ্গে সিভিল সার্জনের দন্ত্য চিকিৎসক মেয়ের বিয়ে হয়েছে বলে কাজী জানিয়েছেন।
বিয়ে উপলক্ষে সিভিল সার্জনের বাসভবনের প্রধান ফটকের ভেতরে ফুল দিয়ে একটি তোরণ নির্মাণ করা হয়। বিয়েতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক, কয়েকজন কর্মচারী, সিভিল সার্জন কার্যালয়ের কিছু কর্মকর্তা ও কর্মচারীসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা যোগ দেন।
জুমার নামাজের পর অতিথিদের মধ্যাহ্ন ভোজ করানো হয়। খাবারের তালিকায় ভাত, মুরগি রোস্ট, চিংড়ি, রুই, গরুর মাংস, দই, জর্দা ও সেভেন আপ ছিল বলে সেখানে উপস্থিত কয়েজন জানিয়েছেন।
জনসমাগম এড়াতে ‘খুবই স্বল্প পরিসরে’ এই আয়োজন করতে হয়েছে জানিয়ে সিভিল সার্জন বলেন, গত বৃহস্পতিবার মেয়ের গায়ে হলুদ অনুষ্ঠিত হয়। পরিবারে চারজন চিকিৎসক রয়েছে। তাদেরসহ অনেককেই আমন্ত্রণ করতে পারিনি। শুধু ২০-৩০ জন মানুষ অতিথি হিসেবে এসেছিলেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খাঁন সাংবাদিকদের বলেন, বিষয়টি আমরা শুনেছি। এ বিষয়ে খোঁজ নেব। কেউই জবাবদিহির ঊর্ধ্বে নন।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যে গত ১ মার্চ থেকে এখন পর্যন্ত ৮ হাজার ৯৭৪ জন প্রবাসী ব্রাহ্মণবড়িয়ার বিভিন্ন উপজেলায় এসেছেন। তাদের মধ্যে শুক্রবার বিকাল পর্যন্ত ১৪৯ জনকে ‘হোম কোয়ারেন্টিনে’ রাখা হয়েছে। বাকিদেরও এই ব্যবস্থায় আনতে কাজ করছে জেলা প্রশাসন ও সিভিল সার্জন অফিস।