April 25, 2024
জাতীয়

বিমান বন্দরের নিরাপত্তায় স্ট্যান্ডার্ড রুল প্রয়োগের পরামর্শ

দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
চট্টগ্রামের শাহ আমানত বিমানবন্দরে প্লেন ছিনতাইচেষ্টার ঘটনায় বাংলাদেশের তিন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে। কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ভেদ করে অস্ত্র নিয়ে আন্তর্জাতিক ফ্লাইটে ওঠা নিরাপত্তার ঘাটতি বলেই মানছেন নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা।
বিশ্লেষকরা বলছেন, বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিয়ে ঘাটতি আছে, সেটা পূরণ করা দরকার। নিরাপত্তা নিয়ে যে রুল ও রেগুলেশন আছে, সেটা যথাযথভাবে প্রয়োগ নিশ্চিত করতে পারলেই নিরাপত্তা আন্তর্জাতিক মানের করা সম্ভব।
তবে বেসরকারি বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহাবুব আলী নিরাপত্তার ঘাটতি রয়েছে, সেটা মানতে নারাজ। সোমবার সংবাদ সম্মেলনে বারবারই নিরাপত্তার ঘাটতির বিষয়টি উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা, সেটা তো আপনারা (সাংবাদিকরা) নিজচোখে দেখলেন।
আর বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এম নাঈম হাসান নিরাপত্তা ইস্যুতেই সাংবাদিকদের একের পর এক প্রশ্নের মুখে পড়েন। তার বক্তব্য ছিল একটাই, আমরা তদন্ত করবো। সিসিটিভি আছে, সেটি চেক করবো। আমাদের মেশিনে সিসিটিভি আছে, সবগুলো চেক করবো। কারণ এই মেশিনের ভিতর দিয়ে যদি নেইল কার্টার, খেলনা পিস্তল, ছুরি ধরা পড়তে পারে, তাহলে এগুলো ধরা হবে না, জিনিসটা খুব বিশ্বাসযোগ্য মনে হয় না। তদন্ত হোক তাহলে দেখা যাবে।
তবে নিরাপত্তা বিশ্লেষক এ রব মনে করেন, বিমানবন্দরের নিরাপত্তার ঘাটতির কারণেই এমন ঘটনা ঘটেছে। তিনি বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঢেলে সাজানোর পরামর্শ দিয়ে বলেন, নিরাপত্তার যে ধাপ আছে, সেটা ঠিক আছে। কিন্তু সেই ধাপ কতটুকু বাস্তবায়ন হয়? আপনি যদি দক্ষিণ এশিয়ার যে কোনো দেশের বিমানবন্দরের সঙ্গে তুলনা করেন, তাহলে দেখবেন, আমাদের নিরাপত্তার কতটুকু ঘাটতি আছে। আমাদের ঘাটতি ইমফোর্স করা হয় না।
‘স্ক্যানিং ঠিকমতো করা হয় না, যেমন আমাদের বিমানবন্দরে জুতা, জ্যাকেট এসবের স্ক্যানিং করা হয় না। কিন্তু আপনি যদি দক্ষিণ এশিয়ার কথাই ধরেন, তারাও জুতা, জ্যাকেটসহ সবই স্ক্যানিং করে। যে রুল ও রেগুলেশন রয়েছে, সেগুলো এনফোর্সড করলেই হবে না, নিরাপত্তায় স্ট্যান্ডার্ড রুল অ্যাপ্লাই করতে হবে।’
নিরাপত্তা বিশ্লেষক এলাহী চৌধুরী বলেন, নিরাপত্তা নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। এটা অনেক আগেও বলেছি, বহু পরামর্শ দিয়েছি। সেই পরামর্শ বাস্তবায়ন করলেই নিরাপত্তার ঘাটতি থাকবে না।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *