বিদ্যুতের জন্য কয়লা আমদানিতে মূসক ছাড় আত্মঘাতী : টিআইবি
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য কয়লা আমদানিতে মূল্য সংযোজন কর (মূসক) ছাড় দেওয়া আত্মঘাতী ও অপরিণামদর্শী সিদ্ধান্ত বলে উলেখ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। গতকাল শনিবার টিআইবির পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।
বিবৃতিতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, কয়লা থেকে সাশ্রয়ী মূল্যে বিদ্যুৎ পাওয়ার যুক্তি দেখিয়ে যেভাবে কয়লার ওপর আত্মঘাতী নির্ভরশীলতা সৃষ্টি করা হচ্ছে, তারই ধারাবাহিকতায় কয়লা আমদানিতে মূসক ছাড়ের এই সিদ্ধান্ত। এটি সরকারের জাতীয় অঙ্গীকার, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ও প্যারিস চুক্তির পরিপন্থি।
তিনি বলেন, সরকারের অঙ্গীকার ২০২০ সালের মধ্যে নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে ১০ শতাংশ। অথচ বর্তমানে এর হার চার শতাংশেরও কম। সরকার অঙ্গীকার করেছিল যে, ২০৫০ সালের মধ্যে ৫০ শতাংশ বিদ্যুৎ উৎপাদনে নাবয়নযোগ্য পদ্ধতি অনুসরণ করা হবে। কিন্তু তা নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় কর সুবিধাসহ তেমন কোনো কৌশলগত ও কার্যকর উদ্যোগ লক্ষ্য করা যাচ্ছে না।
ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, মূসক ছাড়ের ফলে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোতে বিদ্যুৎ উৎপাদন খরচ কমে আসার সুফল গ্রাহকরা কতটা পাবেন সেটি প্রশ্ন সাপেক্ষ। কেননা ফার্নেস তেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোতেও সরকার একই ধরনের কর ছাড় দিয়েছিল। কিন্তু বাস্তবে সুবিধাটি পকেটে পুরেছেন এসব কেন্দ্রের বেসরকারি উদ্যোক্তারা।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, সরকার যখন রাজস্ব আদায় বৃদ্ধির জন্য মরিয়া, তখন এমন পরিবেশবিধ্বংসী খাতে কীভাবে এত বড় মূসক ছাড় গ্রহণযোগ্য হতে পারে তা বোধগম্য নয়। এমন সুবিধা যদি দিতেই হয় তবে এর ফলে সাধারণ মানুষের কাছে সাশ্রয়ী মূল্যের বিদ্যুৎ পৌঁছানোর বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি বলেন, সারা পৃথিবী যখন পরিবেশবিধ্বংসী কয়লানির্ভর জ্বালানি থেকে সরে আসতে কার্বন কর বসাচ্ছে, সেখানে কয়লা আমদানিতে কর ছাড় জলবায়ু ঝুঁকির মুখে শীর্ষস্থানীয় বাংলাদেশের জন্য পশ্চাৎমুখী ও আত্মঘাতী পদক্ষেপ। এমন আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের জন্য সরকারের প্রতি আহŸান জানাই।