বিদেশফেরত একজন হাসপাতালে, ৫ জন ‘স্বেচ্ছা কোয়ারেন্টিনে’
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
জ্বর নিয়ে বিদেশ থেকে আসা এক যাত্রীকে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে, আরও পাঁচজনকে তাদের যার যার বাসায় স্বেচ্ছা কোয়ারেন্টিনে থাকতে বলেছেন চিকিৎসকরা।
বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রæপ ক্যাপ্টেন এএইচএম তৌফিদ উল আহসান গতকাল শুক্রবার বিকালে বলেন, একজন যাত্রীর শরীরে তাপমাত্রা ছিল স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি। তাই তাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
একই কারণে আরও পাঁচজনকে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বলে বিমানবন্দরে দায়িত্বরত স্বাস্থ্য কর্মকর্তা শামীমা সুলতানা জানান। তবে ওই যাত্রীরা কোন দেশ থেকে বা কোন ফ্লাইটে ঢাকা এসেছেন, সে বিষয়ে কোনো তথ্য প্রকাশ করতে রাজি হননি তিনি।
বিমানবন্দরের পরিচালক জানান, নভেল করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সতর্কতার অংশ হিসেবে বিমানবন্দরে এখন চারটি হেলথ ডেস্ক কাজ করছে। সচল রয়েছে চারটি থার্মাল স্ক্যানার। বিমানবন্দরে এখন তিন ধাপে যাত্রীদের শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা করা হচ্ছে।
আইইডিসিআরে পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা শূক্রবার সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ২৪ জনের নমুনা তারা পরীক্ষা করেছেন। সব মিলিয়ে নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে মোট ১৮৭ জনের। তবে বাংলাদেশে তিনজন বাদে নতুন করে কারও শরীরে নভেল করোনাভাইরাসের উপস্থিতি মেলেনি।
নভেল করোনাভাইরাস আক্রান্ত দেশ থেকে ফেরা মানুষকে বাড়িতে অবস্থান করার জন্য আহ্বান জানালেও অনেকে তা মানছেন না বলেও জানান আইইডিসিআরের পরিচালক। তিনি বলেন, সেক্ষেত্রে সংক্রামক রোগ আইনে সরকার ‘কিছুটা শক্ত পদক্ষেপও’ নিতে পারে।
সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইনে সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণে সরকারি দায়িত্ব পালনে বাধা দিলে বা নির্দেশনা না মানলে সর্বোচ্চ তিন মাসের জেল ও ৫০ হাজার টাকার শাস্তির বিধান রয়েছে। আর মিথ্যা বা ভুল তথ্য দিলে সর্বোচ্চ ২ মাসের কারাদÐ বা ২৫ হাজার টাকা অর্থদÐ হতে পারে। বিদেশফেরত কারও মধ্যে নভেল করোনাভাইরাসের উপসর্গ পাওয়া গেলে আইইডিসিআরে সরাসরি না গিয়ে হটলাইনে যোগাযোগের আহ্বানও জানানো হয়েছে।