বাংলাদেশ-ভারত টেস্টে শিশিরের ভূমিকা দেখছেন টেন্ডুলকার
কলকাতায় বাংলাদেশের বিপক্ষে ভারতের দিবা-রাত্রির টেস্ট খেলাকে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত হিসেবে দেখছেন শচিন টেন্ডুলকার। তবে ম্যাচটি যেহেতু নভেম্বরের শেষ দিকে, সন্ধ্যার পর শিশির বড় ভূমিকা পালন করবে বলে মনে করছেন ভারতীয় কিংবদন্তি।
২২ নভেম্বর ইডেন গার্ডেনসে শুরু হবে দুই দলের প্রথম দিবা-রাত্রির টেস্ট। এর আগে গোলাপী বলে টেস্ট খেলেনি কোনো দলই।
শিশিরের কারণে ভেজা বলে পেসার ও স্পিনার সবার কাজই কঠিন হয়ে উঠবে বলে মনে করেন টেন্ডুলকার।
“যতক্ষণ না শিশির কোনো প্রভাবক হয়ে দাঁড়াচ্ছে, এটা একটা ভালো সিদ্ধান্ত। কিন্তু শিশির যদি ভূমিকা রাখতে শুরু করে, পেসারদের মতো স্পিনারদের জন্যও কাজটি চ্যালেঞ্জিং হবে। কারণ বল ভিজে গেলে পেসাররা যেমন খুব বেশি কিছু করতে পারবে না, স্পিনাররাও পারবে না। বোলাররা তাই কঠিন পরীক্ষার মুখে পড়বে। শিশির না পড়লে, অবশ্যই দিন-রাতের টেস্ট একটি ভালো উদ্যোগ।”
ম্যাচটি যখন হবে, শীতের ছোঁয়া তখন লাগতে শুরু করবে। শিশিরের ভূমিকা থাকবে, তাই নিশ্চিত করেই ধরে নেওয়া যায়। তবে সেই ভূমিকা ম্যাচে কতটা পার্থক্য গড়ে দেবে, সেটিই টেন্ডুলকারের কৌতূহল।
“আমি মনে করি, শিশির এখানে বড় ভূমিকা রাখবে। আমাদের দেখতে হবে, কতটা শিশির সেখানে পড়বে। দুই দলের লড়াই কতটা জমবে, তা নির্ধারণ করে দেবে শিশির। কিন্তু মাঠের ক্রিকেটের লড়াইয়ে কন্ডিশনের বড় প্রভাব থাকা উচিত নয়।”
গোলাপী বলের ঔজ্জ্বল্য ধরে রাখতে সাধারণত দিবা-রাত্রির টেস্টের পিচে তুলনামূলক বেশি ঘাস রাখা হয়। তবে অভিজ্ঞ ও ভালো স্পিনাররাও পিচ থেকে সুবিধা আদায় করতে পারবেন বিশ্বাস টেন্ডুলকারের।
“অবশ্যই, এটা (পিচে বাড়তি ঘাসের উপস্থিতি) পেসারদের বেশি সাহায্য করবে। কিন্তু যদি দলে যদি মানসম্পন্ন স্পিনার থাকে, সেও এই পিচে কার্যকর হওয়ার পথ খুঁজে নেবে। একজন স্পিনারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হবে, পিচে কতটা বাউন্স আছে এবং বল কতটা স্কিড করবে, তা বুঝতে পারা। ঘাস কি খুব বেশি, নাকি বল গ্রিপ করবে, সেটাও বুঝতে হবে।”
শিশিরের ভূমিকা ছাড়া অবশ্য দুর্ভাবনার আর কোনো জায়গা দেখছেন না টেন্ডুলকার। দিন-রাতের টেস্ট আয়োজনের মূল কারণ যেটি, সেই দর্শকদের জন্য এটি দারুণ সুযোগ বলে মনে করেন ক্রিকেট ইতিহাসের সফলতম ব্যাটসম্যান।
“এই ভাবনাটাই দারুণ। লোকে নিজেদের কাজ শেষে মাঠে গিয়ে খেলা দেখতে পারবে। সন্ধ্যায় গিয়ে উপভোগ করতে পারবে। ক্রিকেটারদের দিক থেকেও এটি খারাপ নয়। গোলাপী বলে খেলে তারা দেখতে পারবে, প্রথাগত লাল বলের চেয়ে এটির আচরণ কতটা আলাদা।”