বাংলাদেশের বিজ্ঞানী ফিরদৌসী কাদরী পাচ্ছেন ইউনেস্কোর পুরস্কার
উন্নয়নশীল দেশে শিশুদের সংক্রামক রোগ প্রতিরোধে ভূমিকার স্বীকৃতি হিসেবে চলতি বছরের লোরিয়াল-ইউনেস্কো উইমেন ইন সায়েন্স অ্যাওয়ার্ড পাচ্ছেন বাংলাদেশের বিজ্ঞানী ফিরদৌসী কাদরী।
ইউনেস্কো মঙ্গলবার বিশ্বের পাঁচ অঞ্চলে এবারের পুরস্কার বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করে। ফিরদৌসী কাদরী এ পুরস্কার পাচ্ছেন এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের জন্য।
ড. কাদরী বর্তমানে আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশের (আইসিডিডিআর,বি) সংক্রামক রোগ বিভাগের মিউকোজাল ইমিউনোলজি অ্যান্ড ভ্যাকসিনোলজি ইউনিটের প্রধান।
বাংলাদেশ ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর শিশুদের মধ্যে ভাইব্রো কলেরা ও ই কোলাই ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণজনিত ডায়রিয়া নিয়ে গবেষণায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে তার।
ড. কাদরী ও তার সহযোগীদের সিকি শতাব্দির গবেষণার অন্যতম বড় সাফল্য হল কলেরার একটি সহজলভ্য ও কার্যকর টিকা তৈরি করা, যা বাংলাদেশের অসংখ্য দরিদ্র মানুষের জীবন বাঁচাতে সহায়ক হচ্ছে।
ফিরদৌসী কাদরী ছাড়াও আফ্রিকা ও আরব অঞ্চল থেকে আলবা মেহিও, ইউরোপ থেকে এডিথ হার্ড, লাতিন আমেরিকা থেকে এসপারেনজা মার্তিনেস রোমেরো এবং উত্তর আমেরিকা থেকে ক্রিস্টি আনসেথ এবারের লোরিয়াল-ইউনেস্কো উইমেন ইন সায়েন্স অ্যাওয়ার্ড পাচ্ছেন।
ইউনেস্কো জানিয়েছে, পুরস্কারজয়ী পাঁচ বিজ্ঞানীর প্রত্যেকে এক লাখ ইউরো করে পাবেন। আগামী ১২ মার্চ প্যারিসে ইউনেস্কো সদরদপ্তরে তাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরসায়ন ও অণুপ্রাণবিজ্ঞান বিভাগ থেকে মাস্টার্স করার পর যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অফ লিভারপুলে পিএইচডি করেন ফিরদৌসী কাদরী।
পরে আইসিডিডিআর,বির ইমিউনোলজি বিভাগে পোস্টডক্টোরাল করে একই বিভাগে সহকারী বিজ্ঞানী হিসেবে যোগ দেন তিনি।
আন্ত্রিক সংক্রামক রোগ নিয়ে মাঠ পর্যায়ের গবেষণায় ভূমিকার জন্য ২০১২ সালে ফ্রান্সের বিজ্ঞান একাডেমির ক্রিস্তোফ মরিউ পুরস্কার পান ড. কাদরী। সেই পুরস্কারের পাঁচ লাখ ইউরো দিয়ে তিনি গড়ে তোলেন ইনস্টিটিউট ফর ডেভেলপিং সায়েন্স অ্যান্ড হেলথ ইনিশিয়েটিভ (আইদেশি), যেখানে মূলত জন্মগত রোগ বা জেনেটিক ডিজঅর্ডার নিয়ে গবেষণা হয়।