April 26, 2024
জাতীয়

বঙ্গবন্ধুর খুনি নূরকে ফেরতে আশাবাদী সরকার

 

দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক

বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত নূর চৌধুরীকে প্রত্যার্পন নিয়ে কানাডায় আইনি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, যাতে এই খুনিকে দেশে ফিরিয়ে সাজা কার্যকরের বিষয়ে আশাবাদী  হয়ে উঠেছে সরকার। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বুধবার মন্ত্রণালয়ে এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, আইনি প্রক্রিয়া চলছে। আদালতে শুনানিও শুরু হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সঙ্গে বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা করেছিলেন জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা আশাবাদী। বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনি নূর চৌধুরীকে ফিরিয়ে দেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে বাংলাদেশ সরকারের করা একটি আবেদনের ওপর স¤প্রতি শুনানি নিয়েছে কানাডার একটি ফেডারেল কোর্ট।

২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকে তাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে চেষ্টা করছে সরকার। আইনমন্ত্রী আনিসুল হকও নূর চৌধুরীর মামলার শুনানির বিষয়ে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।

সকালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গত বৃহস্পতিবার কানাডার আদালতে একটা শুনানি হয়েছে নূর চৌধুরীর ব্যাপারে। কানাডিয়ান সরকারের কাছে আমারা কিছু তথ্য চেয়েছি। সেই তথ্য মিনিস্টার ফর ইমিগ্রেশন অ্যান্ড সিটিজেনশিপ অব কানাডা দেয় নাই, না দেওয়ার কারণে আমরা কানাডার ফেডারেল কোর্ট গিয়েছিলাম।

সেখানে গত বৃহস্পতিবার যে শুনানি হয়েছে, সেখানে বাংলাদেশের আইনজীবী তার বক্তব্য রেখেছেন। অ্যাটর্নি জেনারেল অব কানাডার পক্ষে আইনজীবী বক্তব্য রেখেছেন। আমি জেনেছি যে, নূর চৌধুরীর আইনজীবীও বক্তব্য রেখেছেন। কোর্ট সবার শুনানি নিয়ে পরে রায়ের জন্য রেখেছেন।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তার পরিবারের অধিকাংশ সদস্যকে হত্যা করা হয়। দীর্ঘ সময় পর এ মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ১২ আসামির মধ্যে ২০১০ সালে পাঁচজন সাবেক সেনা কর্মকর্তার ফাঁসি কার্যকর হয়। তারা হলেন- সৈয়দ ফারুক রহমান, বজলুল হুদা, সুলতান শাহরিয়ার রশিদ খান, মহিউদ্দিন আহমেদ ও এ কে এম মহিউদ্দিন।

অপর দণ্ডিত আসামিদের মধ্যে নূর চৌধুরী ছাড়াও পাঁচজন এখনও পলাতক রয়েছেন। অন্যরা হলেন- সাবেক সেনা কর্মকর্তা আব্দুর রশিদ, শরিফুল হক ডালিম, আব্দুল মাজেদ, মোসলেহউদ্দিন ও এম রাশেদ চৌধুরী। রাশেদ চৌধুরী যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন বলে সংবাদমাধ্যমের খবর।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ দণ্ডিত যারা বিদেশে আছেন, তাদের সবাইকে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত তারেক রহমান দুর্নীতির দুই মামলায় ১৭ বছর কারাদণ্ড নিয়ে লন্ডনে বসবাস করছেন। এছাড়া রাষ্ট্রদ্রোহ ও মানহানির অভিযোগে ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলা আদালতে তার বিরুদ্ধে কয়েক ডজন মামলা রয়েছে।

 

 

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *