July 27, 2024
আঞ্চলিক

প্রতি জেলায় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষণা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা হবে : প্রতিমন্ত্রী

নিউজপ্রিন্ট মিল গণহত্যার স্মৃতিফলক উন্মোচন

 

দ: প্রতিবেদক

সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, দেশের প্রতি জেলায় গণহত্যা-নির্যাতন ও মুক্তিয্দ্ধু বিষয়ক গবেষণা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। ১৯৭১ সালে পাক হানাদার বাহিনী সমগ্র দেশে যে গণহত্যা চালিয়েছিলো তা গবেষণার মাধ্যমে চিহ্নিত করে নতুন প্রজন্মের কাছে উপস্থাপন করতে হবে। স্কুল-কলেজের তরুণ শিক্ষার্থীদের গণহত্যার স্মৃতিবিজরিত এধরণের স্থানগুলো ভ্রমণের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস জানতে হবে।

গতকাল বুধবার বেলা ১১টায় প্রতিমন্ত্রী খুলনার খালিশপুরে অবস্থিত নিউজপ্রিন্ট মিল গণহত্যার স্মরণে গণহত্যা জাদুঘর কর্তৃক নির্মিত শহীদ স্মৃতিফলক উন্মোচন ও সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।

প্রখ্যাত ইতিহাসবিদ বঙ্গবন্ধু অধ্যাপক ড. মুনতাসীর মামুন এর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তৃতা করেন কুয়েটের প্রাক্তণ উপাচার্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো: জিয়াউর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নগর শাখার সহকারী কমান্ডার হাফিজুর রহমান, খালিশপুর থানা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার শেখ হাবিবুর রহামান, জয়নাল আবেদিন, মুক্তিযোদ্ধা সাংবাদিক আব্দুল মালেক, মো: সিদ্দিকুর রহমান, হাফেজ গোলাম মোস্তফা, আব্দুল কাদের, আবু সাঈদ, রবিউল আওয়াল, আলিমুজ্জামান, মাস্টার বদিয়ার রহমান, সাবেক কাউন্সিলর শহীদুল ইসলাম, এস.এম কেয়ামত আলী।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এ জাদুঘরের অধীনে বধ্যভূমিতে ৩০টি স্মৃতিফলক, ২০ জেলায় গণহত্যা জরিপ, ৮০টি গণহত্যা নির্ঘন্ট প্রকাশ ও ১৫০ জন গবেষক-কে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। আর্কাইভে মুক্তিযুদ্ধ সংক্রান্ত প্রায় ৯ হাজার ছবি ও দুষ্প্রাপ্য পত্র-পত্রিকা রক্ষিত রয়েছে। এই জাদুঘরই প্রথম ডিজিটাল জেনোসাইড ম্যাপ তৈরি করেছে এবং এ সব ক্ষেত্রে সহায়তা করেছে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে খুলনা নিউজপ্রিন্ট মিলের ভিতরে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী প্রায় ৫০ জনকে হত্যা করে।

এর আগে সকাল ১০টায় প্রতিমন্ত্রী নগরীর সাউথ সেন্ট্রাল রোডে অবস্থিত দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম ও একমাত্র গণহত্যা জাদুঘর ‘১৯৭১: গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘর’ পরিদর্শন করেন। এসময় তিনি এই আর্কাইভ ও জাদুঘরের জন্য প্রস্তাবিত ছয়তলা ভবন নির্মাণের কাজ দ্রæত শুরু করার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন। প্রতিমন্ত্রীকে স্বাগত জানান জাদুঘর ট্রাস্টের সভাপতি প্রখ্যাত ইতিহাসবিদ বঙ্গবন্ধু অধ্যাপক ড. মুনতাসীর মামুন।

পরে প্রতিমন্ত্রী সোনাডাঙ্গা আবাসিক এলাকায় অবস্থিত গণহত্যা-নির্যাতন ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষণা কেন্দ্র, বিভাগীয় জাদুঘর এবং খুলনা শিল্পকলা একাডেমির নির্মিতব্য ভবন পরিদর্শন করেন। এসময় জাদুঘর ট্রাস্টের সভাপতি ইতিহাসবিদ ও বঙ্গবন্ধু অধ্যাপক ড. মুনতাসীর মামুন, ড. চৌধুরী শহীদ কাদের, শংকর কুমার মল্লিকসহ অন্যান্য সদস্যবৃন্দ, প্রতিমন্ত্রীর একান্ত সচিব মোহাম্মদ কামরুল হাসান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) জিয়াউর রহমান, বিভাগীয় জাদুঘরের আঞ্চলিক পরিচালক আফরোজা খান মিতা, উপপ্রধান স্থপতি মোঃ আসিফুর রহমান ভূইয়া, জেলা কালচারাল অফিসার সুজিত কুমার সাহাসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *