April 23, 2024
জাতীয়লেটেস্ট

প্রকল্প পরিচালকদের না পেয়ে ক্ষুব্ধ মন্ত্রী মান্নান

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশের পরও সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পের পরিচালকদের কর্মস্থলে না পেয়ে চটেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর নজরে আনবেন বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন তিনি। গতকাল রোববার শেরেবাংলা নগরে এনইসিতে সব মন্ত্রণালয়ের সচিবদের সঙ্গে চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (আরএডিপি) শতভাগ বাস্তবায়নে নির্দেশনা ও সহযোগিতা প্রদান বিষয়ক এক বৈঠক করেন মন্ত্রী মান্নান।
বৈঠকের পর তিনি সাংবাদিকদের জানান, স¤প্রতি কয়েকটি প্রকল্প পরিদর্শনে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দুটি নির্দেশনার ব্যত্যয় দেখতে পেয়েছেন তিনি। গত সপ্তাহে আমি প্রকল্প পরিদর্শনে খুলনা গিয়েছিলাম, সেই অভিজ্ঞতা তাদের সঙ্গে শেয়ার করছি। একাধিক প্রকল্প এক প্রকল্প পরিচালকের আওতায় হবে না, এটা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন বা নির্দেশনা আছে না করার জন্য। কিন্তু আমি লক্ষ্য করেছি কিছু কিছু আছে।
আমরা বলেছি, আপনারা একজনকে একাধিক প্রকল্পের পরিচালক যদি দিয়ে থাকেন, তাহলে কেন দিয়েছেন, তা ব্যখ্যা দিয়ে জানান। আমরা এটা কর্তৃপক্ষের নজরে আনব। না হলে তো আপনারা ঠিক করছেন না। ব্যত্যয় হচ্ছে।
মন্ত্রী বলেন, আরেকটা জিনিস আরও ভয়ংকর। প্রকল্প পরিচালকগণ প্রকল্প স্থানে থাকেন না। আবারও বলছি যদি সঙ্গত কোনো কারণ থাকে, যেমন কিছু কিছু প্রকল্প আছে আপনাকে মাঠে থাকতে হবে না। গবেষণা করতে হবে। এটা বদ্ধ ঘরে বসেই যে কোনো জায়গায় করতে পারি।
তবুও প্রকল্পটি ঢাকায় হলে ঢাকায় থাকতে হবে, আবার চট্টগ্রামে হলে চট্টগ্রামে থাকতে হবে। মূল কথা হলো প্রকল্প পরিচালকগণ প্রকল্পকে ওন করে কাছে থাকবেন, এটাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন। সেটা লক্ষ্য করেছি মানা হয় না এটা আমরা প্রধানমন্ত্রীর নজরে আনব।
প্রকল্প পরিচালককে প্রকল্পে এলাকায়ই থাকতে হবে- জোরের সঙ্গে একথা বলেন পরিকল্পনামন্ত্রী।
প্রকল্প বাস্তবায়নে গতি আনার উপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, প্রত্যেকে আমাকে বলেছেন, এ সময়ের মধ্যে গত বছরের তুলনায় অধিক অর্জন করেছে এবং বাকি সময়ে কাজের গতি আরও বাড়িয়ে শতভাগ এডিপি অর্জন করতে পারবেন বলে তারা আমাকে আশ্বস্ত করেছেন। প্রকল্প বাস্তবায়নে দেরির জন্য জমি অধিগ্রহণকে কারণ দেখিয়েছেন সচিবরা।
মান্নান বলেন, বৈঠকে আমি কেবিনেট ডিভিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি, সার্কুলার দিয়ে জমির আইন বা মালিকানার সমস্যার সমাধান করতে। দাতা সংস্থার কিছু শর্তের কারণেও সমস্যা হওয়ার কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, এটা আমরা একা ঠিক করতে পারব না। এটার জন্য আমরা ইআরডিকে অনুরোধ করেছি, কীভাবে আরও সহজ করা যায়। গতি অর্জন করাই আমাদের প্রধান কাজ, সকল সচিব মহোদয়ের কাছে আমার আবেদন এটাই ছিল, বলেন পরিকল্পনামন্ত্রী।
প্রকল্প পরিচালকদের না পেয়ে ক্ষুব্ধ মন্ত্রী মান্নান
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশের পরও সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পের পরিচালকদের কর্মস্থলে না পেয়ে চটেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর নজরে আনবেন বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন তিনি। গতকাল রোববার শেরেবাংলা নগরে এনইসিতে সব মন্ত্রণালয়ের সচিবদের সঙ্গে চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (আরএডিপি) শতভাগ বাস্তবায়নে নির্দেশনা ও সহযোগিতা প্রদান বিষয়ক এক বৈঠক করেন মন্ত্রী মান্নান।
বৈঠকের পর তিনি সাংবাদিকদের জানান, স¤প্রতি কয়েকটি প্রকল্প পরিদর্শনে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দুটি নির্দেশনার ব্যত্যয় দেখতে পেয়েছেন তিনি। গত সপ্তাহে আমি প্রকল্প পরিদর্শনে খুলনা গিয়েছিলাম, সেই অভিজ্ঞতা তাদের সঙ্গে শেয়ার করছি। একাধিক প্রকল্প এক প্রকল্প পরিচালকের আওতায় হবে না, এটা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন বা নির্দেশনা আছে না করার জন্য। কিন্তু আমি লক্ষ্য করেছি কিছু কিছু আছে।
আমরা বলেছি, আপনারা একজনকে একাধিক প্রকল্পের পরিচালক যদি দিয়ে থাকেন, তাহলে কেন দিয়েছেন, তা ব্যখ্যা দিয়ে জানান। আমরা এটা কর্তৃপক্ষের নজরে আনব। না হলে তো আপনারা ঠিক করছেন না। ব্যত্যয় হচ্ছে।
মন্ত্রী বলেন, আরেকটা জিনিস আরও ভয়ংকর। প্রকল্প পরিচালকগণ প্রকল্প স্থানে থাকেন না। আবারও বলছি যদি সঙ্গত কোনো কারণ থাকে, যেমন কিছু কিছু প্রকল্প আছে আপনাকে মাঠে থাকতে হবে না। গবেষণা করতে হবে। এটা বদ্ধ ঘরে বসেই যে কোনো জায়গায় করতে পারি।
তবুও প্রকল্পটি ঢাকায় হলে ঢাকায় থাকতে হবে, আবার চট্টগ্রামে হলে চট্টগ্রামে থাকতে হবে। মূল কথা হলো প্রকল্প পরিচালকগণ প্রকল্পকে ওন করে কাছে থাকবেন, এটাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন। সেটা লক্ষ্য করেছি মানা হয় না এটা আমরা প্রধানমন্ত্রীর নজরে আনব।
প্রকল্প পরিচালককে প্রকল্পে এলাকায়ই থাকতে হবে- জোরের সঙ্গে একথা বলেন পরিকল্পনামন্ত্রী।
প্রকল্প বাস্তবায়নে গতি আনার উপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, প্রত্যেকে আমাকে বলেছেন, এ সময়ের মধ্যে গত বছরের তুলনায় অধিক অর্জন করেছে এবং বাকি সময়ে কাজের গতি আরও বাড়িয়ে শতভাগ এডিপি অর্জন করতে পারবেন বলে তারা আমাকে আশ্বস্ত করেছেন। প্রকল্প বাস্তবায়নে দেরির জন্য জমি অধিগ্রহণকে কারণ দেখিয়েছেন সচিবরা।
মান্নান বলেন, বৈঠকে আমি কেবিনেট ডিভিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি, সার্কুলার দিয়ে জমির আইন বা মালিকানার সমস্যার সমাধান করতে। দাতা সংস্থার কিছু শর্তের কারণেও সমস্যা হওয়ার কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, এটা আমরা একা ঠিক করতে পারব না। এটার জন্য আমরা ইআরডিকে অনুরোধ করেছি, কীভাবে আরও সহজ করা যায়। গতি অর্জন করাই আমাদের প্রধান কাজ, সকল সচিব মহোদয়ের কাছে আমার আবেদন এটাই ছিল, বলেন পরিকল্পনামন্ত্রী।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *