পেঁয়াজের দর কারসাজি: শুল্ক গোয়েন্দা অফিসে ১৩ আমদানিকারক
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
পেঁয়াজের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি ও দর কারসাজির অভিযোগ ইস্যুতে নিজেদের বক্তব্য তুলে ধরতে শুল্ক গোয়েন্দা অফিসে হাজির হয়েছেন ১৩ আমদানিকারক। গতকাল সোমবার কাকরাইলে শুল্ক গোয়েন্দা অফিসে হাজির হন তারা। এর আগে বৃহস্পতিবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) গোয়েন্দা অধিদফতর থেকে তাদের ডেকে পাঠানো হয়। সোমবার ও আজ মঙ্গলবার পেঁয়াজ আমদানিকারকদের সশরীরে সংস্থাটির কার্যালয়ে হাজির হতে বলা হয়।
গোয়েন্দা বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রির বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানতে ৪৭ আমদানিকারককে শুল্ক গোয়েন্দা অফিসে তলব করা হয়েছে। এর অংশ হিসেবে সোমবার কাকরাইলের শুল্ক গোয়েন্দা অফিসে ১৩ আমদানিকারক তাদের বক্তব্য তুলে ধরছেন। আমদানিকারকদের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগের কাছে থাকা তথ্য অনুযায়ী দাম বৃদ্ধির প্রকৃত কারণ যাচাই করা হবে। এরপর দায়ীদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গতকাল সোমবার সকাল ১১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত সেগুনবাগিচায় প্রতিষ্ঠানটির কার্যালয়ে শুনানি চলে। এরপর আধাঘণ্টার বিরতি দেওয়া হয়। বিরতির পর আবার শুনানি শুরু হয়। বিরতির সময় আমদানিকারকদের পক্ষ থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের পরিচালক আব্দুল আওয়াল গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন।
তিনি বলেন, যাদের ডাকা হয়েছিল, তাদের মধ্যে আমাদের চার জনের শুনানি শেষ হয়েছে। আমদানিকারকদের কারসাজির জন্য পেঁয়াজের দাম লাগামহীন হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, শুনানি শেষে বিস্তারিত জানানো হবে।
সোমবার শুনানিতে আসা ১০ আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান হলো, রাজশাহীর এমএস ফুল মোহাম্মদ ট্রেডার্স, চাঁপাইনবাবগঞ্জের একতা শস্যভাণ্ডার, এমএস সাজ্জাদ এন্টারপ্রাইজ, নূর এন্টারপ্রাইজ, এমএস আ এম অ্যাগ্রো, টিএম এন্টারপ্রাইজ ও বিএইচ ট্রেডিং অ্যান্ড কোম্পানি, সাতক্ষীরার এমএস দীপা এন্টারপ্রাইজ প্রোপার্টিজ, নওগাঁর জগদীশ চন্দ্র রায় এবং বগুড়ার এমএস সুমাইয়া এন্টারপ্রাইজ।