পুলিশ পেটানোর মামলায় ছাত্রলীগ নেতা রিমান্ডে
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
পুলিশকে মারধরের মামলায় গ্রেপ্তার ঢাকার পল্টন থানা ছাত্রলীগের সভাপতি শেখ নাজমুল হোসাইন মিরণকে হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করবে পুলিশ। তার সঙ্গে আরও আটজনকে একদিন করে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি বুধবার দিয়েছেন ঢাকার একজন মহানগর হাকিম, যাদের একদিন আগেই মিরণের সঙ্গে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
মঙ্গলবার পল্টনের আজাদ সেন্টারে বিশ্বাস ট্রেডার্স ইন্টারন্যাশনালে দুই পক্ষের মারামারির সময় ছাত্রলীগের এই নয় নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। পুলিশ মারামারি থামাতে গেলে তাদের উপর ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা চড়াও হয়েছিলেন বলে পল্টন থানার এসআই আশরাফুল হকের করা মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে। এসআই জাহাঙ্গীর হোসেন মামলাটি তদন্ত করছেন।
ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা যাদের সঙ্গে মারামারি করছিলেন, তাদের সাতজনকেও গ্রেপ্তার করে পুলিশ। প্রতারণার মামলায় তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এই মামলা তদন্ত করছেন এসআই কাজী আশরাফুল হক। এই ১৬ জনকে বুধবার ঢাকার আদালতে নিয়ে যায় পুলিশ। তাদের তোলা হয় মহানগর হাকিম সাদবীর ইয়াছির আহসান চৌধুরীর আদালতে।
শুনানি শেষে তিনি মিরণ, ওয়াহিদুল ইসলাম, মো. আরিফ, শেখ রহিম, রাসেল, শাহ আলম চঞ্চল, মো. আরিফ, কাওছার আহম্মেদ সাইফ ও মোয়াজ্জেমকে রিমান্ডে পাঠানোর আদেশ দেন। কারাগারে প্রতারণা মামলার আসামিরা হলেন বি এম আসলাম হোসেন ওরফে তুহিন, মেহেদী হাসান, জুয়েল, শরিফুল ইসলাম, সোহেল তালুকদার, সম্রাট ও শাখাওয়াত হোসেন।
শুনানিতে ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের পক্ষে জামিন চান আইনজীবী আব্দুর রহমান হাওলাদার, শাহাদাত হোসেন ভূঁইয়া প্রমুখ। তারা বলেন, পাওনা টাকার বিষয়ে কথা বলার জন্য তারা এক জায়গায় জমায়েত হন। তারা সকলে ছাত্র। ভুল বোঝাবুঝির কারণে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।
পুলিশের করা মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, সন্ত্রাসীরা ভাংচুর করছে বলে খবর পেয়ে পুলিশ বিশ্বাস ট্রেড ইন্টারন্যাশনালে যায়। সেখানে গিয়ে দেখে, আসামিরা অফিসের চেয়ার, টেবিল, কম্পিউটার ভাংচুর করেছে। এসআই আশরাফুল হক আসামিকে ভাংচুর না করার অনুরোধ করলে তারা পুলিশকে মারধর করে।
অন্য মামলাটি করেন আসলাম আহসান তুষার নামে একজন। তিনি অভিযোগ করেন, পাওনা টাকা চাইতে গেলে তাকে মারধর করা হয়। এই মামলার বাদীর পক্ষ নিয়েই ওই ভবনে আসলাম তুহিনের অফিসে গিয়েছিলেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। তুষারের অভিযোগ, চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে তার ও তার আত্মীয়দের কাছ থেকে ২০১৮ সালে ১০ লাখ ৮০ হাজার টাকা নেন তুহিন।