পুলিশকে চড় মারা সেই যুব মহিলা লীগ নেত্রী কারাগারে
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
গাজীপুরে ট্রাফিক পুলিশকে চড় মেরে গ্রেপ্তার হওয়া যুব মহিলা লীগের নেত্রী রুহুন নেছা রুনাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গতকাল রবিবার দুপুরে গাজীপুর মেট্রোপলিটন আদালতের অতিরিক্ত মূখ্য বিচারিক হাকিম হামিদুল হক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন জানিয়েছে পুলিশ।
রুহুন নেছা রুনা গাজীপুর মহানগর যুব মহিলা লীগেরও আহ্বায়ক এবং গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ৩১, ৩২ ও ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী আসনের কাউন্সিলর। আগের দিন পুলিশের গালে চড় মারার পর তাকে আটক করে থানায় নেওয়া হয়। রাতে গাজীপুর মহানগর ট্রাফিক পুলিশের কনস্টেবল আশিকুর রহমান বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে বাসন থানায় মামলা করেন। রবিবার সকালে তাকে আদালতে নেয় পুলিশ।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী কমিশনার (প্রসিকিউশন) একেএম আহসান হাবীব জানান, রুহুন নেছা রুনার পক্ষে জামিনের কোন আবেদন না পাওয়ায় দুপুরে অতিরিক্ত মূখ্য বিচারিক হাকিম হামিদুল হক তাকে ‘হাজতি পরোয়ানা মূলে’ গাজীপুর জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। দুপুরের এ ঘটনায় রাতে পুলিশের কাজে বাধা, পুলিশকে আঘাত, সরকারি পোশাক ছেঁড়া, পুলিশকে ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগ এনে পাঁচটি ধারায় মামলা করেন কনস্টেবল আশিকুর রহমান।
তবে চড় মারার কথা স্বীকার করলেও ঘটনার কারণ ভিন্ন বলছেন এই যুব মহিলা লীগনেত্রী ও কাউন্সিলর। পুলিশের অভিযোগ অস্বীকার করে শনিবার তিনি বলেছিলেন, প্রাইভেট কারে এক অনুষ্ঠানে যাওয়ার পথে মহানগরের চান্দনা চৌরাস্তা মোড় এলাকায় ইউটার্ন নিতে যান তিনি। এ সময় পুলিশ তাকে ডান দিকে ইউটার্ন নিতে নিষেধ করে বলেন তিনি। এ সময় নিজের পরিচয় দিয়ে অনুরোধ করেও পুলিশের সাড়া পাননি তিনি।
পরে ওই পথের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় তিনি দেখেন-তাকে বাধা দেওয়ার ওই পথে এলামেলোভাবে অন্য গাড়ি চলাচল করছে। এ সময় তাকে বাধা দেওয়ার পথটি দিয়ে অন্য গাড়ি যেতে দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে পুলিশ তার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে বলে দাবি করেন তিনি। এক পর্যায়ে পুলিশ তার ‘বুকের কাছে গিয়ে অশালীন আচরণ করে’ দাবি করে ‘নিজেকে রক্ষা করতে গিয়ে’ ওই পুলিশ কনস্টেবলকে চড় মারেন বলে স্বীকার করেন তিনি। এ মামলার পরবর্তী তারিখ ১৫ এপ্রিল ধার্য করেছে আদালত।