পুরনো আইফোন ‘স্লো’ করে দেয়ার মামলায় ৫০০ মিলিয়ন ডলার দিচ্ছে অ্যাপল
নতুন আইফোন কিনতে বাধ্য করার প্রক্রিয়া হিসেবে পুরনো ফোনের গতি কমিয়ে দেয়ার অভিযোগে একাধিক মামলা হয়েছিল প্রযুক্তিপণ্য নির্মাতা অ্যাপলের বিরুদ্ধে। এবার ৫০০ মিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে সেই ঝামেলা মিটমাট করতে রাজি হয়েছে মার্কিন প্রতিষ্ঠানটি।
গত শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের একটি আদালতের নথি থেকে জানা যায়, আগামী এপ্রিলে অনুষ্ঠিতব্য শুনানিতে ক্যালিফোর্নিয়ার ফেডারেল আদালতের বিচারক মামলার বাদীদের অ্যাপলের ওই সমঝোতা প্রস্তাব মেনে নিতে বলবেন।
অ্যাপলের বিরুদ্ধে মামলাগুলো হয়েছে মূলত ‘অপ্রত্যাশিত পাওয়ার অফ’-এর ভোগান্তি এড়ানোর নামে ফোনের অপারেটিং সফটওয়্যারে গোপন পরিবর্তন আনার অভিযোগে। ২০১৭ সালে অ্যাপল স্বীকারও করেছিল, ক্রমাগত ফোন বন্ধ হয়ে যাওয়া ঠেকাতে গিয়ে পুরনো আইফোনের ব্যাটারির আয়ু দ্রুত ফুরিয়ে আসছে এবং এ কারণে সেগুলোর আইওএস সফটওয়্যারও ধীরগতিতে কাজ করছে।
তবে সমালোচকদের দাবি, মার্কিন টেকজায়ান্ট প্রতিষ্ঠানটি তাদের গ্রাহকদের প্রয়োজনের অনেক আগেই নতুন আইফোন কিনতে বাধ্য করছে। পরে এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার জেরে অ্যাপল দ্রুত তাদের সফটওয়্যার আপডেট এবং ব্যাটারি প্রতিস্থাপনে ছাড় দিতে বাধ্য হয়।
বিতর্ক আর মামলার ঝামেলা এড়াতে নতুন সমঝোতায় অ্যাপল ন্যূনতম ৩১০ মিলিয়ন থেকে সর্বোচ্চ ৫০০ মিলিয়ন ডলার দেবে। কত মানুষ অভিযোগ করছে তার ভিত্তিতে অর্থের পরিমাণ নির্ধারিত হবে। এই অর্থ যুক্তরাষ্ট্রে ভুক্তভোগী আইফোন ব্যবহারকারীদের ক্ষতিপূরণ ও মামলার বাদীদের আইনজীবী-খরচ হিসেবে দেয়া হবে।
আদালতের নথি অনুসারে, যারা আইফোন ৭ বা এরচেয়ে পুরনো মডেল ব্যবহার করছেন, তারা প্রতি ফোনে ২৫ ডলার করে পাবেন। আইনি কাগজপত্র থেকে জানা যায়, অ্যাপলের বিরুদ্ধে মামলার আইজীবীরা সমঝোতার অন্তত ৯৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার পকেটে পুরতে চান। এছাড়া আনুষঙ্গিক খরচ হিসেবে আরও দেড় মিলিয়ন ডলার দাবি করবেন তারা।
এ সমঝোতার বিষয়ে এখনও আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়নি অ্যাপল কর্তৃপক্ষ।