পাইকগাছায় চৌহমুনী বাজারের চাঁদনীর বেহাল দশা
পাইকগাছা প্রতিনিধি
উপজেলার চাঁদখালী ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী চৌমুহনী বাজারের অবস্থা খুবই নাজুক হয়ে পড়েছে। এ বাজার প্রায় শত বছর ধরে চলে আসছে, সে তুলনায় তেমন কোন সরকারি উন্নয়ন হয়নি। চৌহমুনী বাজারটি চার মোহনা তীরে অবস্থিত, এখানে চাঁদখালী, লস্কর, গড়ইখালী ও আমাদী ইউনিয়নের কয়েক হাজার মানুষের বাজার। যখন এক সময় শিবসা নদীর সাথে মিনাজ নদী দিয়ে সরাসরি যোগাযোগ ছিল, বাহিরের ব্যবসায়ীরা মালামাল ভর্তি করে ট্রলার, স্টিমার মাধ্যমে নদী দিয়ে চলাচল করত।
মিনাজ নদীর গোড়ায় বাঁধ হলে, বাহিরের ব্যবসায়ীদের কিছুটা চলাচলের বিঘœ ঘটে। সরেজমিনে জানা যায়, এ বাজার প‚র্ব পুরুষ থেকে চলে আসছে, সরকারি তালিকা ভুক্ত, উপজেলার পুরাতন বাজারগুলি যে দৃশ্যমান উন্নয়ন হয়েছে, সে তুলনায় বাজার খুবই অবহেলিত।
দীর্ঘ বাজারের বয়সে কয়েক যুগ আগের একটি চাঁদনী হয়েছিল। তা নষ্ট হয়ে গেছে, কোন ব্যবসায়ীদের বসার যায়গা নেই। সাবেক এমপি ন‚রুল হক আমলে বাজারের বাউন্ডারীর রাস্তায় ইটের সলিং, এবং একটি চাঁদনী হয়। সেটাও নষ্ট হতে চলেছে, বাজারের আস পাশ গ্রামের রাস্তা ঘাট বিদ্যুৎ দিন দিন উন্নয়নের দিকে যাচ্ছে, বাজারে প্রায় শতাধিক বিভিন্ন পন্যের দোকানপাট হয়েছে। সকাল বিকেল শত শত জন সাধারণের ভীড়। বাজারের যে পরিমান ব্যবসায়ী ওজন সাধারণ ক্রয়-বিক্রয় বৃদ্ধি পাচ্ছে সে তুলনায় বসার যায়গা নেই।
ইতি পূর্ব বাজার সপ্তাহ বুধবার দিন ধরে বাজার চলতো, কয়েক বছর ধরে সপ্তাহে ২ বার রবি ও বুধবার বাজার চলে। এ ছাড়া দৈনন্দিন নিত্য প্রয়োজনীয় মালামাল পাওয়া যায় এ বাজারে। তাই বাজারের ভিতর পাঁকা সলিং ও নতুন ভাবে দুইটি চাঁদনি হলে কিছুটা বাজারের পরিবেশ হবে। এলাকাবাসী কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।