পাইকগাছায় চাহিদার তুলনায় বাগদার পোনা সরবরাহ অপ্রতুল, হতাশ চাষীরা
আবুল হাশেম, পাইকগাছা
খুলনার পাইকগাছায় চাহিদার তুলনায় বাগদার পোনা সরবরাহ অপ্রতুল হওয়ায় পোনার দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে চিংড়ি চাষ নিয়ে চাষীরা চরম হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়েছে । কোথাও মিলছে না নদীর পোনাও। জানা যায়, খুলনার পাইকগাছাসহ দক্ষিণাঞ্চলে আশির দশক থেকে চিংড়ি চাষ শুরু হয়।
উপজেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় মোট ঘেরের সংখ্যা ৩ হাজার ৯৪০টি। যার আয়তন ১৭ হাজার ৭৫ হেক্টর। গত বছর ৫ হাজার ৭২০ মেট্রিক টন চিংড়ি উৎপাদন হয়েছে। চলতি বছর বাগদার পোনার ব্যাপক সংকট ও অধিক দামের কারণে অধিকাংশ চিংড়ি ঘেরে অনেকেই পোনা ছাড়তে পারছেন না। এছাড়া ২১ মে মাস থেকে২২ জুলাই মাস পর্যন্ত পোনা উৎপাদন বন্ধ থাকবে। গত বছর ২-৩শ টাকার পোনা এ বছর তা ৯শ থেকে ১ হাজার টাকা।
খুলনা বিভাগীয় পোনা ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক রয়েল ফিস লিঃ এর স্বত্ত¡াধিকারী গোলাম কিবরিয়া রিপন জানান, গত বছরের চেয়ে চলতি বছর ৮০% পোনার সংকট। প্রতিদিন ৭০-৮০ লাখ পোনার চাহিদা থাকলেও সরবরাহ রয়েছে মাত্র ৭-৮ লাখ। কক্সবাজার, খুলনা, সাতক্ষীরায় ৮০টি হ্যাচারীর মধ্যে ২৮টি হ্যাচারীতে পোনা উৎপাদিত হচ্ছে। নদীতে মিলছে না প্রাকৃতিক উপায়ে পাওয়া বাগদার পোনা। চিংড়ি চাষী সবুজ মৎস্য খাবারের স্বত্ত¡াধিকারী ইশতিয়ার রহমান শুভ জানান, বিগত বছরে চিংড়ি ঘেরে একদিনে যে পরিমাণ পোনা দিয়েছি, ১০দিনেও সে পরিমাণ পোনা ছাড়তে পারছি না। উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা এস,এম, শহিদুল্লাহ জানান, মাদার সংকটের কারণে পোনার সংকট দেখা দিয়েছে। বেশি দিন এ সংকট থাকবে না।