October 6, 2024
আঞ্চলিকলেটেস্ট

পশুর নদীতে যাত্রীবাহী খেয়া ডুবি, একজনের লাশ উদ্ধার

দাকোপ ও মোংলা প্রতিনিধি

পশুর নদীতে অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই খেয়া ডুবির ঘটনায় একজনের লাশ উদ্ধার ও বেশ কয়েকজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। গতকাল রবিবার সকাল সাড়ে ৭টায় দাকোপের লাউডোব-বানিশান্তা খেয়া ঘাটের পূর্ব পাড়ের মোংলা ফ্যাক্টরী ঘাটের অদুরে খরস্রোতা পশুর নদীতে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগীর পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, রবিবার সকাল সাড়ে ৭টায় দাকোপ উপজেলার লাউডোব-বানিশান্তা খেয়া ঘাটের নৌকায় অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই করে বাগেরহাট জেলার মোংলা উপজেলার ফ্যাক্টরী ঘাটে যাচ্ছিলো। এ সময় নদীর প্রবল জোয়ারের তোড়ে খেয়ার নৌকাটি বালি উত্তোলনের ড্রেজারে ধাক্কা খেয়ে ঘটনাস্থলে ডুবে যায়। ওই সময় খেয়ায় থাকা যাত্রীরা জীবন বাঁচাতে পশুর নদী সাঁতরিয়ে তীরে উঠে। এ ঘটনায় আরো যাত্রী নিখোঁজ থাকতে পারে বলে এলাকাবাসীর ধারণা করছেন।

খেয়া ডুবির ঘটনায় তাৎক্ষনিক ফায়ার সার্ভিস ও বাংলাদেশ কোস্টগার্ড পশ্চিম জোন মোংলার ডুবুরি সদস্যরা পশুর নদীতে যাত্রী তল্লাশীতে নামেন। নদী থেকে দাকোপ উপজেলার লাউডোব গ্রামের মৃত প্রফুল্ল্য বিশ্বাসের ছেলে বসুন্ধারা এসি আই গ্রæপের সেল ম্যান সুন্দর বিশ্বাস (৫৪) এর প্যান্ট শার্ট পরিহিত লাশ উদ্ধার করে মোংলা থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন। এ ঘটনায় অনেক যাত্রী আহত হন এবং তারা মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করেছেন। খেয়া ডুবির ঘটনায় উদ্ধার হওয়া সুন্দর বিশ্বাসের ময়নাতদন্তের জন্য মোংলা থানা পুলিশ সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করেছেন।

নিহত সুন্দর বিশ্বাসের পুত্র চিরঞ্জিত বিশ্বাস ও কঙ্কন বিশ্বাস অভিযোগ করে জানান, খেয়া ঘাটের ইজারাদার বানিশান্তা ইউপি চেয়ারম্যান সুদেব রায়। তার লোকজন দীর্ঘদিন ধরে অতিরিক্ত টোল আদায় করে ১৪ থেকে ১৫ বছরের এক কিশোরকে দিয়ে ইঞ্জিন চালিত খেয়া ট্রলারটি চালিয়ে আসছিলো।

এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ডুবে যাওয়া খেয়াটি কোস্টগার্ড ও ফায়ার সার্ভিসের ডুবোরীরা উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছিলেন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মুসসুর আলী খান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল ওয়াদুদ, দাকোপ থানা অফিসার ইনর্চাজ শফিকুল ইসলাম চৌধুরী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।

মোংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ ইকবাল বাহার চৌধুরী জানান, যাত্রীবাহী ট্রলার ডুবির ঘটনার পর সহকারী পুলিশ সুপার অসিফ ইকবাল ঘটনাস্থল পরির্দশন করেছেন। তবে এ ঘটনায় কতজন যাত্রী নিখোঁজ হয়েছে তা নিশ্চিত করতে পারেননি তিনি।

বাগেরহাট ফায়র সার্ভিসের ডিএডি মাসুদ শকিদার জানান, এ দুর্ঘটনার পর সকাল ৯টা থেকে তাদের দুটি ইউনিট কোস্টগার্ডের সঙ্গে সমন্বয় করেই উদ্ধার অভিযান চালচ্ছেন। এ ঘটনায় আরও একাধিক যাত্রী নিখোঁজ থাকতে পারে বলে সন্দেহ করছেন তিনি। তবে যাত্রীদের বেশিভাগই খুলনা জেলার দাকোপ উপজেলার বাসিন্দা। তাই ট্রলার ডুবির ঘটনা অনেকের পরিবার জানেন না।

 

 

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *