নির্দেশনা উপেক্ষা করে ডুমুরিয়ায় পেট্রোল পাম্পে জ্বালানী বিক্রি
ডুমুরিয়া প্রতিনিধি
খুলনা হাইওয়ে পুলিশের নির্দেশনা উপেক্ষা করে বিভিন্ন পেট্রোলপাম্প মালিকরা বেআইনীভাবে পেট্রোল, অকটেন বিক্রি করছে। এছাড়া জেলার বিভিন্ন স্থানে মুদীখানা দোকান, চায়ের দোকানের সামনে বোতলে করে খোলামেলাভাবে বিক্রি করা হচ্ছে সহজে দাহ্য পদার্থ।
সূত্র জানায়, গত বছর শিক্ষার্থীদের দেশজুড়ে মুভমেন্টের কারণে পুলিশ প্রশাসন ট্রাফিক আইন বাস্তবায়নে বেশ তৎপর হয়ে ওঠে। তারই অংশ হিসেবে পেট্রোল পাম্পগুলোতে নো হেলমেট নো ফুয়েল এ শ্লোগান সম্বলিত ফেস্টুন ও ব্যানার টানিয়ে দেয়। সে অনুয়ায়ি হেলমেটবিহীন মোটর সাইকেল চালকদের কাছে পেট্রোল বিক্রি বন্ধ রাখার কথা থাকলেও পেট্রোল পাম্প মালিকরা তা মানছেন না। এমনকি তারা আইনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বোতলে, প্লাস্টিকের পাত্রে এবং ড্রামে পেট্রোল ও অকটেন বিক্রি করছে।
সোমবার সকালে খুলনা- সাতক্ষীরা সড়কের খর্ণিয়া এলাকার ফাহিম ফিলিং স্টেশনে দেখা যায় একটি নছিমনে করে অনেকগুলো ড্রামে পেট্রোল, অকটেন নেয়া হচ্ছে। পাশেই হেলমেটবিহীন এক চালককে দেয়া হল পেট্রোল। দৌলতপুর চুকনগর সড়কের শোলগাতিয়া বাজারের পাশে একটি মুদীখানা দোকানের সামনে বোতলে করে সাজিয়ে রাখা হয়েছে পেট্রোল ও অকটেন। খুলনা- সাতক্ষীরা সড়কের ডুমুরিয়া বাজারের কাছে এম এ লতিফ ফিলিং স্টেশনে হেলমেটবিহীন মোটর সাইকেল চালককে দেয়া হল পেট্রোল। এছাড়া ড্রামে করে বিক্রি করা হয়েছে পেট্রোল।
এমএ লতিফ ফিলিং স্টেশনের কর্মচারী জানালেন মালিকের অর্ডার রয়েছে ড্রামে ও বোতলে পেট্রোল দেয়ার। হেলমেটবিহীন মোটর সাইকেল চালককে পেট্রোল দেয়া প্রসঙ্গে বলেন সব সময় আইন মেনে কি পারা যায়।
হাইওয়ে পুলিশের খর্নিয়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহমুদ আলম বলেন, হাইওয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে প্রতিটি পেট্রোল পাম্পে নোটিশ টানানো হয়েছে। সেটি যদি না মেনে কেউ জ্বালানী বিক্রি করে তাহলে প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
এ বিষয়ে ডুমুরিয়া উপজেলার ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী অফিসার সঞ্জিব দাশ জানান, সড়ক পরিবহন আইনে পেট্রোল পাম্পগুলোকে জ্বালানী বিক্রি করতে হবে। আইন লঙ্ঘণকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।