নবাবগঞ্জে বন্দুকযুদ্ধে শীর্ষ সন্ত্রাসী নিহত
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলায় পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে চৌদ্দ মামলার এক আসামি নিহত হয়েছেন, যাকে এক শীর্ষ সন্ত্রাসী বলছে পুলিশ। গতকাল রবিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে পুলিশ সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছে। নিহত রিপন মোলা (৩১) মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার পূর্ব স্বরমঙ্গল গ্রামের এলেম মোলা ওরফে এরম মোলার ছেলে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শনিবার শেষ রাতের দিকে নবাবগঞ্জ উপজেলার মাঝিরকান্দা-বান্দুরা সড়কের ডাঙ্গারচরে এই বন্দুকযুদ্ধে তিনি নিজেসহ পুলিশের সাত সদস্য আহত হয়েছেন। আহত অন্যরা এসআই আবুল হোসেন, কাজী নাসের, মিজানুর রহমান ও কনস্টেবল সেলিম রেজা, আব্দুর রহমান ও নোমান বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।
মামলার বরাত দিয়ে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৩ মে বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে উপজেলার নয়নশ্রী ইউনিয়নের দেওতলা গ্রামের পীর নজরুল ইসলামের বাড়ি থেকে ফেরার পথে বান্দুরা ইউনিয়নের মাঝিরকান্দা-বান্দুরা সড়কের মহব্বতপুর চাঁদ মসজিদ চকের সামনের সড়কে দুর্বৃত্তদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে শেখ কালাম (৫২) নিহত হন। হামলায় আহত হন জাহিদ খান (৪৪), পরে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণে যার মৃত্যু হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় পুলিশ গোপন সংবাদ পেয়ে ঢাকার দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ উপজেলার শুভাড্যা ইউনিয়নের চিতাখোলা রাস্তায় শনিবার অভিযান চালিয়ে রিপন মোলাকে গ্রেপ্তার করে নবাবগঞ্জ থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করে। তার স্বীকারোক্তি মোতাবেক অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার ও তার অপর সহযোগী আসামিদের গ্রেপ্তার করতে ঊর্ধ্ববতন কর্মকর্তাদের নির্দেশে মধ্যরাত ১টা ১০ মিনিটে পুলিশ রিপনকে নিয়ে অভিযানে বের হয়।
ঘটনার বিবরণে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রাত পোনে ২টার দিকে মাঝিরকান্দা-বান্দুরা সড়কের মহব্বতপুর এলাকার ডাঙ্গারচরে পৌঁছলে আগে থেকে প্রস্তুতি নিয়ে থাকা ‘কুখ্যাত সন্ত্রাসী’ রিপন মোলার সহযোগী অজ্ঞাত ৭/৮ জন দুস্কৃতকারী পুলিশের কাছ থেকে রিপনকে ছিনিয়ে নিতে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে থাকে। এ সময় পুলিশও আত্মরাক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায়। গোলাগুলির এক পর্যায়ে রিপন মোলা দৌড়ে দুস্কৃতকারীদের সঙ্গে পালিয়ে যায়।
এ সময় পুলিশ তাদের পিছু ছুটতে থাকে এবং মহব্বতপুর পাকা রাস্তার কাছে গিয়ে পুলিশ গুলিবিদ্ধ অবস্থায় রিপনকে উদ্ধার করে দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।
এছাড়া ঘটনাস্থল থেকে একটি রিভলবার, তিন রাউন্ড গুলি ও তিনটি ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য স্যার সলিমুলাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।
নবাবগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাইফুল ইসলাম বলেন, ওই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এ পর্যন্ত রিপন মোলাসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী রাতের ঘটনায় গ্রেপ্তার ছয়জনসহ আরও ছয়জনের বিরুদ্ধে পৃথক আরও দুইটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
নবাবগঞ্জ থানার ওসি মোস্তফা কামাল জানান, রিপনের বিরুদ্ধে কেরানীগঞ্জ, দোহার ও নবাবগঞ্জ থানায় হত্যা, ডাকাতি, ছিনতাই ও চুরিসহ ১৪টি মামলা রয়েছে।