April 19, 2024
আঞ্চলিকলেটেস্ট

নগরীতে আর্মড পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ

 

* গলায় কামড়ের দাগ, ঘাতক স্বামী আটক

 

দ: প্রতিবেদক

খুলনার শিরোমণি আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ানের সদস্য মাহমুদ আলমের (নং ৩২০৩) বিরুদ্ধে স্ত্রী জোয়ানা আক্তার উষা (২০) কে গতকাল শনিবার গলায় ফাঁস দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। উষার পরিবারের দাবী শ্বশুর-শাশুড়ী সাথে পরিকল্পনা করে তার স্বামী মাহমুদ তাকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। প্রতিবেশীরা জানান উষাকে ঘরের মধ্যে তালা বন্ধ করে ডিউটিতে যেত মাহমুদ। অভিযুক্ত মাহমুদ আলমকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। নিহতের লাশ ময়না তদন্তের জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেছে। আজ রবিবার তার ময়না তদন্ত সম্পন্ন হবে।

নিহতের বড় ভাই জিএম সোহেল ইসলাম জানান, ‘তিনি দুপুর দেড়টায় উষার বাসায় আসার সময় বাসার সামনে মাহমুদকে দেখে উষা কেমন  আছে জিজ্ঞাসা করলে মাহমুদ জানান, ভালো আছে সে রান্না করছে। পরে ঘরে ঢুকে দেখি খাটের উপর তার ছোট বোন কাতা দিয়ে ঢাকা। পরে তার শরীর ঠান্ডা এবং শ্বাস-প্রশ্বাস না থাকায় তিনি পার্শ্ববর্তীদেরকে ডেকে দ্রত তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষনা দেন। চিকিৎসক তাদেরকে জানিয়েছেন উষার গলায় কালো দাগ এবং কামড়ের চিহ্ন পাওয়া গেছে। প্রাথমিকভাবে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে ডাক্তার তাদেরকে জানিয়েছেন।’

তিনি আরও জানান, মাত্র ৪/৫ মাস আগে মাহমুদের সাথে তার ছোট বোনের বিবাহ হয়। সে পাইকগাছা কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্রী। বিবাহের তিন মাস পর গত এক মাস হলো উষাকে বাদামতলার মনিরুল ফকিরের বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতেন। মাহমুদ উষাকে মানসিক এবং শারীরিকভাবে বিভিন্ন ভাবে অত্যাচার করতো এবং মাহমুদ তার পিতা জবেদ আলী এবং মাতার পরিকল্পনায় উষাকে হত্যা করে। হত্যাকান্ডের পর আর্মড পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে থানায় সোর্পদ করে।

এলাকাবাসী জানায়, উষার বাড়ি খুলনার পাইকগাছা উপজেলায়। গত ৪/৫ মাস আগে তাদের বিয়ে হয়। প্রায়ই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হতো। পারিবারিক কলহের জের ধরে শুক্রবার রাতে সেমাই খাওয়া নিয়ে স্বামী-স্ত্রী’র মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। এসময় মাহমুদ আলম তার স্ত্রী জোয়ানা আকতার উষাকে মারধর ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। শনিবার ভোরে তিনি বাইরে থেকে ঘরের দরজা বন্ধ করে পালিয়ে যান।

খানজাহান আলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ শফিকুল ইসলাম জানান, ঘটনার পর স্বামী নায়েক মাহমুদ আলম পালিয়ে গেলেও খানজাহান আলী থানা পুলিশ তাকে আটক করেছে। অভিযুক্ত মাহমুদ প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছে সে তার স্ত্রীকে হত্যা করেছে। হত্যার কারণ সম্পর্কে মাহমুদ পুলিশকে কিছু জানায়নি। মাহমুদের বাড়ী সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনির থানার জামাল নগর গ্রামে।

 

 

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *