ধারে রোহিঙ্গাদের জন্য খাদ্য দেওয়া হচ্ছে: মন্ত্রী, বর্তমান বিনিময় হার অনুযায়ী বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ প্রায় ১ হাজার ৪০০ কোটি টাকা।
শুক্রবার ওয়াশিংটনে বিশ্ব ব্যাংকের বোর্ড সভায় রোহিঙ্গাদের জন্য এ অনুদান অনুমোদন হয় বলে সংস্থাটির ঢাকা কার্যালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে।
‘ইমারজেন্সি মাল্টি সেক্টর রোহিঙ্গা ক্রাইসিস রেসপন্স’ শীর্ষক একটি প্রকল্পের মাধ্যমে দুর্যোগ থেকে বাঁচানোর পাশাপাশি রোহিঙ্গাদের মৌলিক চাহিদা মেটাতে এ অর্থ ব্যয় করা হবে।
মিয়ানমারে নিপীড়নের মুখে আড়াই বছর আগে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয় বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গা; তার আগে ও পরে আসা মিলিয়ে বাংলাদেশে এখন ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা রয়েছে।
এই শরণার্থীরা রয়েছে কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়া উপজেলায়। শরণার্থীর কারণে ওই দুই উপজেলার জনসংখ্যা তিন গুণ বেড়ে গেছে।
বিশ্ব ব্যাংকের অর্থে মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের জন্য আবাসন অবকাঠামো নির্মাণ করা হবে। প্রকল্পটির ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণের পাঁচটি উন্নয়ন কাজ করা হবে। সেগুলো হচ্ছে- সড়ক, ফুটপাথ, ড্রেন, কালভার্ট এবং সেতু নির্মাণ এবং ক্যাম্পের ভিতরে এবং রাস্তায় রাস্তায় সড়ক বাতি স্থাপন।
এছাড়াও পাইপ দিয়ে পানি সরবরাহ ব্যবস্থার পাশাপাশি বৃষ্টির পানি ধরে রাখা ব্যবস্থা করা এবং পয়ঃনিস্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়ন করা এই প্রকল্পটির উদ্দেশ্য।
বিশ্ব ব্যাংকের ঢাকা কার্য়ালয়ের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক প্রতিনিধি ড্যানড্যান চেন বলেন, রোহিঙ্গাদের জন্য গৃহীত এই প্রকল্পে স্থানীয়রাও উপকৃত হবে।
“ওই এলাকার স্থানীয়দের মধ্যেও অবকাঠামোর অভাব রয়েছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে যেসব স্থাপনা ও সুযোগ সুবিধা তৈরি করা হবে যেসব সুবিধা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের পাশাপাশি স্থানীয়রাও ভোগ করবে।”