October 9, 2024
জাতীয়

ধরে নিয়ে যাওয়া ২ জেলেকে ফেরত দিলো বিএসএফ

দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক

রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার ফরহাদপুর নির্মলচর এলাকায় বাংলাদেশ সীমান্তে ঢুকে ধরে নিয়ে যাওয়া দুই জেলেকে ফেরত দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। গোদাগাড়ী সীমান্তের ৪৭/৭ নম্বর পিলার এলাকায় বিজিবি-বিএসএফ পতাকা বৈঠকের পর শুক্রবার সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে তাদের ফেরত দেয় বিএসএফ।

পতাকা বৈঠকের পর রাজশাহী বিজিবি-১ ব্যাটালিয়নের কমান্ডিং অফিসার (সিও) লেফটেন্যান্ট কর্নেল জিয়াউদ্দিন মাহমুদ এতথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, দুই জেলেকে ধরে নিয়ে যাওয়ার খবরে বৃহস্পতিবারই (০৫ ডিসেম্বর) তারা পতাকা বৈঠকের আহŸান জানিয়ে চিঠি দিয়েছিলেন বিএসএফকে। পরে বিজিবি’র আহŸানে সাড়া দিয়ে শুক্রবার পতাকা বৈঠকে সম্মত হয় বিএসএফ।

বিকেলে নির্মলচর সীমান্তেই বিজিবি-বিএসএফের কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠক শেষে সন্ধ্যায় জেলেদের ফেরত দেওয়া হয়। এ সময় বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে পারস্পরিক সৌহার্দ্য বজায় রাখতে উভয়পক্ষই সম্মত হন বলেও জানান রাজশাহী বিজিবি-১ ব্যাটালিয়ন’র অধিনায়ক।

এর আগে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার ফরহাদপুর নির্মলচর এলাকায় বাংলাদেশ সীমান্তে ঢুকে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) দুই জেলেকে ধরে নিয়ে যায়। বৃহস্পতিবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। ধরে নিয়ে যাওয়া দুই জেলে হলেন- গোদাগাড়ীর প্রেমতলী কাঁঠাল বাড়িয়া গ্রামের আবু বক্করের ছেলে আব্দুর রহিম (৫৫) ও মৃত মোশাররফ হোসেনের ছেলে ওমর আলী (৩২)।

রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার মাটিকাটা ইউনিয়ন পরিষদের ১ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য নয়ন আলী জানান, বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টার দিকে বাংলাদেশ সীমান্তের ভেতর ফরহাদপুর সামাজিক বনায়ন প্রকল্পের পাশে নির্মল চর এলাকা থেকে ওই দুই জেলেকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়। জেলেরা নদী থেকে মাছ ধরে ফিরছিল। সে সময় বিএসএফ সদস্যরা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করে তাদের টেনেহিঁচড়ে ওপারে নিয়ে যায়। পরে স্থানীয় প্রেমতলী বিজিবি ক্যাম্পে গিয়ে তাদের ধরে নিয়ে যাওয়ার এই ঘটনা জানানো হয়।

এর আগে গত ২৩ নভেম্বর দুপুরে রাজশাহীর বাঘা উপজেলার হরিরামপুর সীমান্ত এলাকা থেকে দুই বাংলাদেশি কৃষককে ঘাস কাটার সময় ধরে নিয়ে যায় বিএসএফ।

পতাকা বৈঠকের পরও ফেরত না দিয়ে তাদের ভারতের মুর্শিদাবাদ জেলার জলঙ্গী থানায় সোপর্দ করে বিএসএফ। ওই দুই বাংলাদেশি কৃষক হলেন- রাজশাহীর বাঘা উপজেলার মীরগঞ্জ ভানুকর গ্রামের তছির উদ্দিনের ছেলে এরাজুল ইসলাম (৫০) ও মৃত মিনু মণ্ডলের ছেলে সুমন আলী (৩৫)।

 

 

 

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *