তুরস্কের খোলা সীমান্ত দিয়ে গ্রিস উপকূলে গিয়ে শিশুর মৃত্যু
ইউরোপ ঢোকার সুযোগ করে দিতে তুরস্ক তাদের সীমান্ত খুলে দেয়ার পর সাগরে নৌকা উল্টে অভিবাসন প্রত্যাশীদের একটি শিশুর মৃত্যুর হয়েছে বলে জানিয়েছেন গ্রিসের কর্মকর্তারা।
সোমবার গ্রিসের লেসবস দ্বীপের কাছে নৌকা উল্টে যাওয়ার পর সমুদ্র থেকে উদ্ধার করা ওই সিরীয় ছেলে শিশুটির মৃত্যু হয়, গ্রিসের কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
নিহত শিশুটির বয়স ৬ বলে জানিয়েছে গ্রিস কোস্ট গার্ড; এর বাইরে আর কোনো বিবরণ দেয়নি তারা।
শরণার্থীদের তুরস্ক থেকে গ্রিসে ঢোকা বন্ধে সোমবার গ্রিক নিরাপত্তা রক্ষীদের বাধায় আঘাতপ্রাপ্ত এক সিরীয়র মৃত্যু হয়েছে বলেও তুরস্কের দুই নিরাপত্তা কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেছে। তবে এথেন্স এ অভিযোগ অস্বীকার করে একে ‘ভুয়া খবর’ বলে দাবি করেছে।
সিরিয়া, মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ ও আফগানিস্তান থেকে আসা শরণার্থীদের নিজেদের ভূখণ্ডে রাখার সিদ্ধান্ত থেকে বৃহস্পতিবার সরে আসার ঘোষণা দেয় তুরস্ক। এরপর মাত্র কয়েকদিনের মধ্যেই ১০ হাজারের বেশি শরণার্থী তুরস্ক লাগোয়া ইউরোপের দেশ গ্রিস ও বুলগেরিয়ার সীমান্তে পৌঁছে যায়।
আরও দক্ষিণে, গ্রিসের পূর্বাঞ্চলীয় এজিয়ান দ্বীপেও রোববার সকাল থেকে হাজারখানেক শরণার্থী এসে পৌঁছেছে বলে গ্রিসের পুলিশ জানিয়েছে।
“এটা আগ্রাসন,” স্কাই টিভিকে এমনটাই বলেছেন দেশটির উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রী অ্যাদোনিস গিওর্গিয়াদিস।
গ্রিক ও তুর্কি পুলিশের পাল্টাপাল্টি কাঁদানে গ্যাসে দুই সীমান্তের মাঝে ‘নো-ম্যানস ল্যান্ডে’ শরণার্থীদের আটকে পড়ার ঘটনা ২০১৫-১৬ সালের শরণার্থী সংকটকে মনে করিয়ে দিচ্ছে বলে মন্তব্য রয়টার্সের। সেবার ১০ লাখেরও বেশি মানুষ তুরস্ক হয়ে ইউরোপ ঢুকেছিল।
এজিয়ান সাগরে সেবার প্রায় ৪ হাজার মানুষ ডুবে মরেছিল। ২০১৫-১৬ সালের ঢলে ইউরোপ ঢুকতে চাওয়া প্রায় ৪২ হাজার শরণার্থী এখনও গ্রিসের বিভিন্ন ক্যাম্পে অবস্থান করছেন।