তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে সময় চাইলো দুই কমিটি
খুলনা রেলওয়ে থানায় গণধর্ষণ
দ: প্রতিবেদক
খুলনা (রেলওয়ে) জিআরপি থানায় তিন সন্তানের জননীকে (৩০) গণধর্ষণের ঘটনায় গঠিত দু’টি তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আরো ১৫ দিন সময় চেয়েছে। মঙ্গলবার তদন্ত কমিটির রিপোর্ট দাখিলের তারিখ নির্ধারিত ছিলো বলে জানিয়েছেন রেলের কুষ্টিয়া সার্কেলের এএসপি ফিরোজ আহমেদ। ওই ঘটনার পর পুলিশ সদর দপ্তর থেকে চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। অপর তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি পাকশী রেলওয়ে জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশে গঠন করা হয়।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, গত ২ আগস্ট ঘটনার রাতে খুলনা রেলওয়ে জিআরপি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওসমান গণি পাঠান, উপ-পরিদর্শক (এসআই) গৌতম কুমার পাল, এসআই নাজমুল হাসান, কনস্টেবল মিজান, হারুন, মফিজ, আব্দুল কুদ্দুস, আলাউদ্দিন, কাজলসহ বেশ কয়েকজন উপস্থিত ছিলেন। তবে ওই নারী ওসি ওসমান গণিসহ পাঁচ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে তাকে ধর্ষণ ও মারধরের অভিযোগ করেছেন।
ভুক্তভোগীর বড় বোন জানান, তার বোনের শ্বশুর বাড়ি সিলেটে ও বাবার বাড়ি খুলনার ফুলবাড়িগেট এলাকায়। তাদের মা খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি থাকায় তাকে দেখতে খুলনায় এসেছে বোন। বোন নিজে অসুস্থ থাকায় বৃহস্পতিবার (২ আগস্ট) যশোরে ডাক্তার দেখাতে যান। পরদিন শুক্রবার (৩ আগস্ট) খুলনায় আসার সময় ফুলতলা এলাকায় জিআরপি পুলিশ প্রথমে তাকে মোবাইল চুরির অপরাধে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। পরে রাতে জিআরপি পুলিশের ওসি ওসমান গণি তার বোনকে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ করেন। এরপর আরও চারজন পুলিশ সদস্য তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করেন বলেও অভিযোগ করেন। পরে শনিবার (৪ আগস্ট) পাঁচ বোতল ফেনসিডিলসহ তাকে মামলা দিয়ে আদালতে পাঠায় পুলিশ।
তিনি আরও জানান, আদালতে বিচারকের সামনে নেওয়ার পর তার বোন জিআরপি থানায় তাকে গণধর্ষণের বিষয়টি তুলে ধরেন। এরপর আদালতের বিচারক জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তার ডাক্তারি পরীক্ষার নির্দেশ দেন।
ওসি ওসমান গণি ধর্ষণের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ওই নারীকে পাঁচ বোতল ফেনসিডিলসহ গত ২ আগস্ট আটক করা হয়। সেই মামলায় তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু আদালতে গিয়ে ওই নারী ধর্ষণের অভিযোগ করেছেন। ফেনসিডিলের মামলা থেকে রক্ষা পেতে ওই নারী এ ধরনের মিথ্যা অভিযোগ করেছে বলেও দাবি করেন ওসি ওসমান গণি।